প্রযুক্তি ভিত্তিক বিষয়
৪ জুলাই ২০১২ডিডাব্লিউ-এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের এআরএ টেকনোলজিস'এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম রব্বানী তুলে ধরেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও বাধা-বিপত্তির নানা দিক৷ বাংলাদেশের বর্তমান মহাজোট সরকার তৃণমূল পর্যায়েও তথ্য প্রযুক্তির পরিষেবা পৌঁছে দিতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে - সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘অল্প সময়ের মধ্যেই সরকার অগ্রগতির পথে অনেক দূর এগিয়েছে৷ যেমন আমাদের দেশে এখন ল্যাপটপ উৎপাদন হচ্ছে৷ এখন আমাদের ঘরে ঘরে ফাইবার অপটিক দিয়ে তৈরি পণ্য সরবরাহ এবং সংযোগ প্রদান শুরু হয়েছে৷ এর ফলে ইতিমধ্যে দু'টি এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করেছে সরকার৷ ফাইবার অপটিক সংযোগ পাওয়ার ফলে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে৷ এছাড়া সরকার জেলা পর্যায়ে, থানা পর্যায়ে এবং এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়েছে৷ ইউনিয়ন পরিষদে সরকার ল্যাপটপ-কম্পিউটার দিয়েছে এবং সেখান থেকে গ্রামের কৃষকরাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য, নির্দেশনা, পরামর্শ পেতে পারেন৷''
তথ্য প্রযুক্তির পরিষেবা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো হলেও গ্রামের মানুষ এসব পরিষেবার কতটা গ্রহণ করতে পারছে - এমন প্রশ্নের উত্তরে এক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা জানালেন গোলাম রব্বানী৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আসলে এসব পরিষেবা থেকে উপকার পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে৷ আমাদের মতো একটি গরিব দেশের পক্ষে এটা সম্ভব নয় যে, প্রত্যেকটা মানুষ একটি করে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার কিনে ব্যবহার করবে৷ আবার সরকারের পক্ষেও এটা সম্ভব নয় যে, প্রত্যেক পরিবারে একটি করে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার তুলে দেবে৷ ফলে তথ্য প্রযুক্তির প্রকৃত সুবিধা ভোগ করার ক্ষেত্রে এ ধরণের কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে৷ এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও কিছু ঘাটতি রয়েছে৷ কারণ তথ্য প্রযুক্তির উপকরণগুলো ব্যবহার করতে হলে সেগুলো চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন৷ অথচ আমাদের গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এ ব্যাপারে যথেষ্ট প্রশিক্ষণের সুবিধা নেই৷''
তাই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য প্রযুক্তির বিষয়গুলো আরো বেশি হারে সংযোজন করা এবং সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষক নিয়োগ করার সুপারিশ করেন রব্বানী৷
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ