নতুন বছর
১৪ এপ্রিল ২০১২পহেলা বৈশাখ, বাঙালির সংস্কৃতির পরিচয়৷ সম্রাট আকবরের আমলে ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে যে ইলাহী সন চালু হয়েছিলো, তা-ই বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে৷ কৃষকশ্রেণির সেই ফসলি সন এখন বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে৷ খ্রিষ্টাব্দের আগমনে বাঙালি উৎফুল্ল হয়, কিন্তু বঙ্গাব্দের আগমনে বাঙালি আনন্দের জোয়ারে ভাসে৷ রমনার বটমূল বৈশাখী আয়োজনের কেন্দ্র বিন্দু৷ কিন্তু এই বৈশাখীর রং লাগে গোটা দেশে, গোটা বিশ্বের আনাচে কানাচে যেখানে বাঙালি বসত করে৷ নববর্ষের রঙের ঢেউ তাই এখনও বিশ্বের আনাচে কানাচে খেলা করছে৷
বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ বৈশাখী মেলা৷ আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য এই মেলা৷ কেবল বাংলাদেশেই বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে অন্তত দুই শতাধিক বৈশাখী মেলার আয়োজন বসে৷ সেখানে নানা স্বাদের মুড়ি-মুড়কি আর পিঠা-পুলি তো রয়েছেই, সেই আদিকাল থেকে জনপ্রিয় পুতুল নাচের আসরও এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ৷ আর নাগরদোলায় হাওয়ায় ভেসে নববর্ষের নতুন মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করার অনুভুতি যেন একেবারেই ভিন্ন৷ এছাড়া রয়েছে হরেক রকমের কুটির শিল্প আর হস্ত শিল্পের বাহারি প্রদর্শনী৷ দেখা মেলে বাংলার ঐতিহ্য মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যেরও৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক