1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাইডেনের মতোই আগাম বিদায় নেবেন শলৎস?

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আগামী রোববার জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনেও এসপিডি হারলে শলৎস চ্যান্সেলর হিসেবে আরো দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন৷ জয়ের মুখ দেখলে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/4kt4k
জার্মান পার্লামেন্টে বক্তব্য দিচ্ছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস
জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগে বক্তব্য দিচ্ছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসছবি: John Macdougall/AFP/Getty Images

একের পর এক নির্বাচনি বিপর্যয়ের ফলে বেশ চাপের মুখে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ তাঁর জোট সরকারের শরিক দলগুলিও ভোটারদের রোষের মুখে পড়ছে৷ দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থি ও পপুলিস্ট শক্তির ক্ষমতা বাড়ছে৷ প্রধান বিরোধী রক্ষণশীল শিবিরও সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছে৷ সাধারণ নির্বাচনের এক বছর আগেই তারা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস-কে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করে সরকারের উপর আক্রমণ আরো জোরদার করছে৷

পূবের স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে ভরাডুবির পর শলৎসের এসপিডি দল আগামী রোববার বার্লিন-সংলগ্ন ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের নির্বাচনে আবার ভোটারদের সমর্থন চাইছে৷ ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর থেকেই সেই রাজ্যে এসপিডি-র নেতৃত্বে একটানা সরকার গঠিত হয়েছে৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী এবার সেই ধারাবাহিকতায় ভাঙন আসতে পারে৷ উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি দল সমর্থনের বিচারে প্রায় এসপিডির সমান অথবা সামান্য এগিয়ে রয়েছে৷

ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য এসপিডির হাতছাড়া হলে চ্যান্সেলর হিসেবে ওলাফ শলৎসের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ এমনকি নিজের দলের মধ্যেও তাঁর প্রতি সমর্থন আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে অন্য কোনো নেতাকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী করা হতে পারে৷ এমনটা ঘটলে শলৎসের পক্ষে বর্তমান কার্যকাল পূর্ণ করাও কঠিন হতে পারে৷ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেও নতুন করে আর চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হবেন না, এমন ঘোষণা করা উচিত বলে এসপিডি দলের একাংশ মনে করছে৷ সে ক্ষেত্রে সংকটে জীর্ণ জোট সরকারও নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে কিনা, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ তবে বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রিয় নেতা বরিস পিস্টোরিউস সরকারের হাল ধরলে এসপিডি দলের বেহাল অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

একাধিক কারণে শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে৷ বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা, বিশাল সংখ্যক বিদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের মতো বিষয় ভোটারদের মনে অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে৷ জোট সরকারের মধ্যে প্রকাশ্যে কোন্দল ও চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎসের যথেষ্ট শক্তিশালী নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে বার বার অভিযোগ উঠছে৷

ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত এসপিডি সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি হিসেবে আগামী সরকার গঠনের দায়িত্ব পেলে শলৎস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ সেই রাজ্যের রাজধানী পট্সডাম তাঁর নির্বাচনি এলাকা৷ তাঁর স্ত্রীও রাজ্যের একজন মন্ত্রী৷ তবে নির্বাচনি প্রচারে এসপিডি দল শলৎসের প্রায় উল্লেখ না করে বরং জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডিটমার ভইডকে-কে সামনে রেখে ভোটারদের সমর্থন চাইছে৷ এএফডি সবচেয়ে শক্তিশালী দল হলে তিনি পদত্যাগ করে কোনো জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেননা বলে জানিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)