হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প
১৭ এপ্রিল ২০১৫‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার' আইইউসিএন-এর উদ্যোগে এই পরিকল্পনা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত আশরাফুল হক৷ তিনি আশা করছেন এ বছরের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা যাবে৷ দশ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প শেষ হবে ২০২৫ সালে৷
আইইউসিএন বাংলাদেশের কর্মকর্তা আশরাফুল হক জানান, মানুষের সংখ্যা বাড়ায় দিন দিন বনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে৷ আর এটাই হাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি৷ কারণ এর ফলে বাসস্থানের পাশাপাশি খাবার সংকটেও পড়ছে হাতিরা৷
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বাড়ার কারণে এখন অনেক মানুষ বনের খুব কাছে বসতি স্থাপন করছে৷ ফলে প্রায়ই দেখা যায় বণ্য হাতিরা মানুষের বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ছে৷ এতে করে হাতির সঙ্গে স্থানীয়দের একটি সংঘাত তৈরি হচ্ছে৷ ফলে মারা যাচ্ছে মানুষ, কখনও কখনও প্রাণ হারাচ্ছে হাতিও৷ বন বিভাগের হিসেবে, গত ১৩ বছরে বণ্য হাতির হামলায় কমপক্ষে ৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছে৷
মানুষ ও হাতির মধ্যে এই সংঘাত কমাতে স্থানীয়দের নিয়ে ‘এলিফেন্ট রেসপন্স টিম' গঠন করা হবে বলে জানালেন আশরাফুল হক৷ হঠাৎ করে হাতি লোকালয়ে চলে এলে কীভাবে তাকে পোষ মানিয়ে আবার বনে ফেরত পাঠানো যায় সে বিষয়ে রেসপন্স টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷ হাতি-মানুষের সংঘাত বেশি ঘটে এমন ২৬টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে৷ ঐসব জায়গায় এমন টিম গঠন করা হবে বলে জানান আইইউসিএন কর্মকর্তা৷
হাতির সংখ্যা
বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা নিয়ে সবশেষ ২০০৪ সালে একটি সমীক্ষা হয়েছিল৷ আইইউসিএন সেটা করেছিল৷ ঐ হিসেবে বাংলাদেশে হাতির সংখ্যা ছিল ২২৭ থেকে ২৪০ এর মধ্যে৷ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে হাতি গণনার কাজ চলছে৷ এ বছরই সেটা প্রকাশ করা হবে৷
চট্টগ্রামের লোহাগড়ার চুনতি অভয়ারণ্য, বাঁশখালী; কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, ডুলহাজরা; বান্দরবনের লামা, আলিকদম; রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, পাবলাখালী এসব এলাকায় বেশি হাতি বাস করে৷ এছাড়া নেত্রকোনা, শেরপুরের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন কামালপুর, দুর্গাপুর, বক্সীগঞ্জ, নলিতাবাড়ি এবং মৌলভীবাজারের জুরি রেঞ্জ এলাকায়ও হাতি দেখতে পাওয়া যায়৷