বাড়ি ফিরলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী
২৭ অক্টোবর ২০২১সুদানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার সেনাই আব্দাল্লা হ্যামডককে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু তার বাড়ি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। কাউকে ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আব্দাল্লার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন তার স্ত্রীও। জাতিসংঘ-সহ একাধিক দেশ আব্দাল্লার দ্রুত মুক্তির দাবি করেছিল। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়তে বাধ্য হলো সেনা।
গত সোমবার সকালে আচমকাই সেনা অভ্যুত্থান হয় সুদানে। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যূত করে ক্ষমতা দখল করেন সুদান পরিচালনাকারী সভরেন কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। প্রধানমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রী এবং নাগরিক সমাজের নেতাকে গ্রেপ্তার করে অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। বস্তুত, তারপর থেকেই সুদানের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীদের একাংশ সেনাশাসনের পক্ষে, অন্য পক্ষ গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে। বুরহান জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে। কিন্তু তার আগে সেনা শাসন করবে। ক্ষমতা দখল করেই দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বুরহান।
আন্তর্জাতিক চাপ
আন্তর্জাতিক বিশ্ব সুদানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। দ্রুত প্রধানমন্ত্রী-সহ সকলকে মুক্তির দাবি জানানো হয়। চাপের মুখে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বুরহান জানান, প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিরাপত্তার কারণে তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুরহান জানান, ''প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে আছেন।'' এরপরেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্য মন্ত্রী এবং নাগরিক সমাজের নেতাদের অবশ্য এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাদের অবস্থানও স্পষ্ট নয়।
জার্মানির দাবি
মঙ্গলবার জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তারা সুদানের এই অভ্যুত্থান সমর্থন করেন না। মাস জানিয়েছেন, জার্মানি গণতান্ত্রিক সুদানের লক্ষ্যে যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লা হ্যামডক কাজ করছিলেন, তা সমর্থন করে। সমস্ত মন্ত্রীর মুক্তির দাবিও জানিয়েছে জার্মানি।
বুরহানের কৈফিয়ত
বুরহান দাবি করেছেন, সেনা অভ্যুত্থান না হলে সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো। গৃহযুদ্ধ থেকে দেশকে বাঁচাতেই তিনি একাজ করেছেন। তবে ২০২৩ সালে নির্বাচন হবে এবং তার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে বলে এদিনও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)