সম্পর্ক বাড়ানোর উপর জোর
১১ এপ্রিল ২০১৩মনমোহন সিং বুধবার জার্মানির রাজধানীতে পৌঁছান, পাঁচজন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন৷ এই অবকাশে দুই নেতার পারস্পরিক আলাপচারিতা ছাড়াও তাঁরা উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, ইরান এবং আফগানিস্তান সম্পর্কেও কথাবার্তা বলেছেন৷
আন্তঃ-সরকার আলাপ-আলোচনায় সাধারণত বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপরেই জোর দেওয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্যের প্রতিনিধিরা আসেন৷ এবার কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তার বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, এছাড়া জ্বালানি শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে৷ যে কারণে সিং'এর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী এসেছেন৷
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় কর্মকালের শেষ বছরে মনমোহন সিং ভারতের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন৷ কাজেই জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্যবৃদ্ধি এবং জার্মানি থেকে বিনিয়োগ তাঁর অবশ্যই কাম্য৷ দিল্লি ও মুম্বই করিডরের বিকাশে সাহায্য করতে জার্মানি যেমন আগ্রহী, তেমনই মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত৷ ভারতের আদালতে সিদ্ধান্ত নিতে বড় বেশি সময় লেগে যায় বলেও জার্মান তরফের ধারণা৷
ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ২০০৭ সাল যাবৎ আলাপ-আলোচনা চলেছে৷ এবার জার্মানি এই আলাপ-আলোচনা শীঘ্র সমাপ্ত করার সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছে, সম্ভব হলে চলতি বছরেই৷ তা উভয় পক্ষের স্বার্থের জন্যই মঙ্গলজনক হবে, বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থনীতি মন্ত্রী ফিলিপ ব়্যোসলার৷
অপরদিকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের আগে একাধিক ইইউ দেশের দাবি যে, ভারতে বিদেশি বিমা সংস্থাগুলির এফডিআই বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদিত পরিমাণ ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করতে হবে৷ ভারত মোটরগাড়ি এবং সুরাজাতীয় পণ্যের উপর শুল্ক কমাক, এটা'ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি৷ গতমাসে ব্রাসেলসে ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলাপ-আলোচনায় এ'সব বিতর্কিত বিষয়ে বিশেষ প্রগতি অর্জিত হয়নি৷
যে কারণে ইইউ'এর মুখ্য অর্থনীতি জার্মানির সম্মতি ও সমর্থন ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷