পাবলো পিকাসো
১৩ এপ্রিল ২০১৩পুরো নাম : পাবলো রুইজ ই পিকাসো
জন্ম : ২৫ অক্টোবর ১৮৮১, মালাগা, স্পেন
মৃত্যু : ৮ এপ্রিল ১৯৭৩, মুজ্যাঁ, ফ্রান্স
পেশা : চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর
বাবা : ডন খোজে রুইজ ই ব্লাস্কো
মা : মারিয়া পিকাসো ই লোপেজ
স্ত্রী : ওলগা কখলোভা (১৯১৮-৫৫)
জ্যাঁকলিন রোক (১৯৬১-৭৩)
উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম : গ্যার্নিকা, দ্য উইপিং উওম্যান, ল্য ডমোঁয়াসল ডা'ভিনিও
ফ্রান্সের প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন প্রায়ই ওঠে, ‘আপনি প্যারিস গিয়েছিলেন, দা ভিঞ্চির ‘মোনালিসা' দেখেছেন?' কেউ স্পেনে গিয়েছিলেন শুনলে জানতে চাওয়া হয়, মাদ্রিদ গিয়েছিলেন, পিকাসোর গ্যার্নিকা দেখেছেন?' একেবারে ভিন্নধর্মী দুটি ছবি৷ প্রথমটি ষোড়শ শতাব্দীতে আঁকা নিসর্গের পটভূমিতে এক রহস্যময় মৃদু হাসির রমণীর প্রতিকৃতি৷ দ্বিতীয়টি বিংশ শতাব্দীর, বিশাল ক্যানভাসে কিউবিক ফর্মে সাদা-কালো ও কোলাজে আঁকা যুদ্ধ বিরোধী এক ছবি৷ আধুনিক শিল্পকলা সম্পর্কে উদাসীন মানুষও আর কিছু না জানুক নিঃসন্দেহে পিকাসো নামটি অন্তত জানেন৷ শিল্পকলার ইতিহাসে বিংশ শতাব্দির খুব বড় মাপের এই শিল্পীর মতো জীবিদ্দশায়ই আর কেউ এত খ্যতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি৷
শৈশব থেকেই শিল্পকলার জগত তাঁকে চেনে ‘বিস্ময় শিশু' হিসেবে৷ বাবা ছিলেন অঙ্কন শিল্পের শিক্ষক৷ তাঁর কাছেই পিকাসোর ছবি আঁকায় হাতে খড়ি৷ ছবি আঁকা শুরুর কয়েক বছরের মধ্যে এমন সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠেন বয়স ১৩ হতে না হতেই বাবাকেও ছাড়িয়ে যান৷ ছেলের প্রতিভায় বিস্মিত হয়ে ছবি আঁকাই ছেড়ে দেন বাবা এবং নিজের সব রং, তুলি দিয়ে দেন ছেলেকে!
বিশ শতকের প্রথম দিকে পিকাসো চলে আসেন প্যারিসে৷ নিঁখুত বাস্তবধর্মী চিত্রকলার গণ্ডি ছাড়িয়ে শিল্পকলার বিভিন্ন মাধ্যম, শিল্পশৈলি ও আধুনিক চিন্তাধারার রুপ স্থান পায় তাঁর শিল্পকর্মে৷ কিউবিজম, কোলাজ ছাড়াও বহু শিল্পশৈলির প্রত্যক্ষ প্রমাণ পিকাসো৷ আধুনিক শিল্পকলার অঙ্গনে তেলচিত্র, অঙ্কনচিত্র, গ্রাফিকস থেকে শুরু করে ভাষ্কর্য, মৃৎশিল্প, মঞ্চের পটভূমি- সবকিছুতেই তিনি এনেছিলেন বিরাট পরিবর্তন৷
১৯৩৭ সালে প্যরিসের বিশ্ব শিল্প মেলায় স্পেনের প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত হয় ‘গ্যার্নিকা'৷ জার্মানদের বোমা বর্ষনে স্পেনের বিদ্ধস্ত গ্রাম গ্যার্নিকা'র দুঃখ্-দুর্দশা ও বেদনার এক গভীর প্রতিফলন৷
৪০ বছর আগে ৮ই এপ্রিল ৯১ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন আধুনিক শিল্পকলার মহিরুহ পাবলো পিকাসো৷ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছবি এঁকেছেন, সব সময় বলতেন, ‘চিত্রকলার অনেককিছুই শেখা হলো না৷'