1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে নিষিদ্ধ করোনা প্রতিবাদ

২৭ আগস্ট ২০২০

বার্লিনে নিষিদ্ধ হলো বড় আকারের প্রতিবাদ। করোনা নিয়ে কড়াকড়ির প্রতিবাদে এই সপ্তাহান্তেও বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি ছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন বিক্ষোভকারীরা।

https://p.dw.com/p/3hYxF
ছবি: Getty Images/M. Hitij

অগাস্টের গোড়ায় বিশাল বিক্ষোভ হয়েছিল বার্লিনে। করোনা নিয়ে কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা আবার জারি করার প্রতিবাদে। কিন্তু জার্মানিতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তাই মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই ধরনের প্রতিবাদে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

বার্লিন সিটি স্টেটের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁদের বাধ্য হয়েই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়েছে। কারণ, বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম ভাঙছেন। আগের বিক্ষোভে দেখা গেছে, প্রতিবাদকারীরা মাস্ক পরছেন না। সামাজিক দূরত্বের বিধিও মানছেন না। এ নিয়ে প্রশাসনের অনুরোধ তাঁরা রাখেননি। এই পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাঁর আবেদন, চরম দক্ষিণপন্থীরা যে আন্দোলন করছেন, তার থেকে বাকিরা যেন নিজেদের সরিয়ে রাখেন। বিক্ষোভকারীরা করোনাকে ঢাল করে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে চান।

মন্ত্রী ও প্রশাসনের আশঙ্কা, আগামী শনিবার ২০ হাজার বিক্ষোভকারীর জমায়েত হওয়ার কথা। সেখানে সহিংসতার সম্ভাবনা আছে। তাঁদের দাবি, জমায়েতের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। বরং জার্মানির আইন রক্ষা করা হচ্ছে। করোনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই শুক্রবার থেকে রোববার কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি বার্লিনে করা যাবে না। 

Berlin I Proteste gegen Corona-Auflagen I Day of Freedom
ছবি: Getty Images/AFP/J. MacDougall

কিন্তু বিক্ষোভের আয়োজকরা শনিবার সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর। অন্যতম আয়োজক স্টুটগার্টের ব্যবসায়ী মাইকেল বলওয়েগ সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন,  তাঁরা এই সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন।  তাঁদের ধারণা, ২৯ অগাস্ট জমায়েত হবেই। আর এ বার যোগদানকারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। দক্ষিণপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি(এএফডি)-র দাবি, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে হবে।

হামবুর্গ ভিত্তিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ হনবার্গার সামাজিক মাধ্যমে চক্রান্তের তত্ত্ব অনুধাবন করেন। তিনি সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে বলেছেন, চরম দক্ষিণপন্থীরা বিক্ষোভে যোগ দেয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছে। সেই বিক্ষোভ আইনি না বেআইনি তা নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা নেই। তাঁরা বলছে 'বার্লিনে ঝড় তোলো'।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক জোরদার হচ্ছে। পুলিশের একটি ইউনিয়নের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত নয়। তবে বার্লিনের নিষেধাজ্ঞা যদি মাত্র একবারের জন্য হয় তা হলে ঠিক আছে। আবার বুদ্ধিজীবীদের একাংশের মতে, বার্লিন সিটি স্টেটের এই সিদ্ধান্ত  গুরুচ্বপূর্ণ। তারা ভবিষ্যতে এই গোষ্ঠাগুলিকে ঠেকাতে চায়।

অন্যদিকে ডুসেলডর্ফ স্টেডিয়ামে ১৩ হাজার অতিথির সামনে বড় আকারের পপ কনসার্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। সেখানে অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়ক, গায়িকাদের পারফর্ম করার কথা ছিল। কনসার্টের নাম রাখা হয়েছিল. গিভ লাইফ আ চান্স বা জীবনকে একবার সুযোগ দাও। সাত হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছিল। এখন টিকিটের অর্থ ফেরত দেয়া হবে।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, ইপিডি, এএফপি)