বার্লিনে ফিলিস্তিনপন্থিদের সমাবেশে ইসরায়েলের সমালোচনা
২ জুন ২০১৯এ সময় তাঁরা ফিলিস্তিনের জনগনের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানান এবং ইসরাইলের সমালোচনা করা মানেই ‘ইহুদি বিদ্বেষ' নয় বলে জানান৷
ফিলিস্তিনের সমর্থনে যখন বার্লিনে বিক্ষোভ চলছিল তখন একই সময়ে ইসরাইলের সমর্থনেও জার্মানির রাজধানীটিতে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ মানুষ৷
শনিবার বার্ষিক আল-কুদস দিবস বা জেরুসালেম দিবসে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে ইসরাইলের সমালোচনা করে জড়ো হন প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী৷ এ সময় তাঁদের হাতে ''ইসরাইল শিশু হত্যাকারী'', ''গাজাকে মুক্ত কর'' ইত্যাদি স্লোগানসম্বলিত ফেস্টুন দেখা গেছে৷ বিক্ষোভকারীরা ''ইসরাইলের সমালোচনা মানেই ইহুদি বিদ্বেষ নয়'' এ ধরনের স্লোগানও দিয়েছেন৷
যৌক্তিক সমালোচনা না ইহুদি বিদ্বেষ?
আল-কুদস দিবসের এ সমাবেশটি ইসরাইলের কোন কর্মকান্ডের যৌক্তিক সমালোচনা করলে সেটি ইহুদি বিদ্বেষ হয় কিনা সে আলোচনাও সামনে এনেছে৷ তবে জার্মান ইহুদি বিদ্বেষ কমিশনার ফেলিক্স ক্লাইন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ''২০১৯ সালে এসে ‘ইহুদি বিদ্বেষী' স্লোগান শোনার বিষয়টি আসলে অপ্রত্যাশিত৷'' গত সপ্তাহে ইহুদিদেরকে জনসম্মুখে কিপ্পা না পরার পরামর্শ দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি৷
এদিকে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যৌক্তিক সমালোচনা কোনভাবেই ইহুদি বিদ্বেষ হতে পারে না৷ সমাবেশটিতে অংশ নেয়া বার্লিনের বাসিন্দা অ্যামেরিকান ইহুদি টম (ছদ্মনাম) বলেন, ''জার্মানিতে ইসরাইলের সমালোচনার বিষয়টি স্পর্শকাতর৷''
তিনি বলেন ''এই সমাবেশে অংশ নিয়ে আমি ফিলিস্তিনিদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে চাই, আমি দেখাতে চাই ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের বিষয়টি ইহুদি বিদ্বেষের সাথে সম্পৃক্ত নয়৷''
সমাবেশে অংশ নেয়া নারী লাইলা এইচ (ছদ্মনাম) বলেন, ‘‘ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে বৈধতা দিতে ইহুদি বিদ্বেষ ধারণাটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷''
এদিকে আল-কুদস দিবসে এই সমাবেশের প্রতিবাদে পাল্টা সমাবেশ করেছে নারিবাদী, এলজিবিটিসহ অন্যান্য পেশার প্রায় ছয়শ মানুষ৷ সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা এ সময় ইরানবিরোধী স্লোগান দেয়া সহ হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ পাশাপাশি, জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা৷ মারিয়ানে নামে সমাবেশে এক অংশগ্রহনকারী জানান যে তিনি ‘ইহুদি বিদ্বেষের' বিষয়টির প্রতি নিন্দা জানাতে সমাবেশে এসেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ইহুদিরা একটি বিশেষ জাতি কেননা ঈশ্বর তাঁদের ইসরাইলের এ ভূমিটি দিয়েছেন৷ যদিও বিষয়টি সবসময় যৌক্তিক মনে হয় না, কিন্তু এটি বাইবেলে লেখা আছে৷''
চেজ ভিন্টার/আরআর