1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে হয়ে গেল ‘‘সবুজ সপ্তাহ’’

২৯ জানুয়ারি ২০১২

১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বার্লিনের ‘গ্রুনে ভোখে’ বা সবুজ সপ্তাহ হল বিশ্বের বৃহত্তম কৃষিমেলা৷ সেখানে শুধু পণ্য প্রদর্শনীই নয়, বিশ্বব্যাপী কৃষিনীতি এবং পরিবেশ ও সমাজের উপর তার প্রভাব নিয়েও উচ্চপর্যায়ের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়৷

https://p.dw.com/p/13sXQ
Eine Frau trägt am Samstag (21.01.2012) in Berlin einen Flyer mit dem Demonstrationsaufruf "Wir haben es satt!" auf dem Hut. Mehrere tausend Demonstranten folgten dem Aufruf unter dem Motto "Wir haben es satt!", der von rund rund 90 Organisationen und Vereine unterstützt wird, und zogen vom Hauptbahnhof zum Bundeskanzleramt. Foto: Florian Schuh dpa/lbn
সবুজ সপ্তাহকে স্বাগত জানাচ্ছে এক নারীছবি: picture alliance/dpa

বিভিন্ন দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষি ও খাদ্য সংক্রান্ত একাধিক সংস্থা ও সংগঠনের প্রধান, এবং সমগ্র ‘কৃষিশিল্পের' সর্বোচ্চ প্রতিনিধিরা জানেন, বার্লিনের আন্তর্জাতিক সবুজ সপ্তাহ কৃষি ও পরিবেশ সম্পর্কে তাদের নিজস্ব মতামত ও ধ্যানধারণা উপস্থাপন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ৷ যেমন আগামী জুন মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জানিরো'তে জাতিসংঘের পরবর্তী পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ বার্লিনের সবুজ সপ্তাহের ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার' আলোচনা রিও'র সম্ভাব্য সাফল্য-অসাফল্যের একটা ইঙ্গিত দিতে পারে৷

ইন্দোনেশিয়ার মোট ২৪ কোটি মানুষের মোটামুটি ভাতই মূল খাদ্য৷ প্রত্যেক ইন্দোনেশিয়াবাসীর বছরে গড়ে ১০০ কিলোগ্রাম চাল লাগে৷ দেশে বর্তমানে প্রয়োজনের মাত্র ১০ শতাংশ বেশি ধান উৎপন্ন হয়৷ ওদিকে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ কাজেই ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী আসিরাফ সুসভোনো চান খাদ্যশস্য ও বীজধানের ক্ষেত্রে আরো বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বিশেষ করে জিন-প্রযুক্তির ব্যবহারে৷

কিন্তু জিন-প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যাপারে শিল্পোন্নত দেশগুলিতে হাওয়া কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যদিকে বইছে৷ বিশেষ করে ইউরোপে প্রতিরোধ বাড়ছে, এবং তা অ্যাতোটাই যে জার্মান রাসায়নিক সংস্থা বিএএসএফ গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে যে, বিএএসএফ তার জিন-প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণার শাখাটি জার্মানি থেকে তুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃষি কমিশনার ডাচিয়া চিওলস মনে করেন, জিন-পরিবর্তিত উদ্ভিদের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করা যাবে, এটা ভাবা ভুল৷

Berlin/ Der Praesident des Deutschen Bauernverbandes (DBV), Gerd Sonnleitner, spricht am Donnerstag (19.01.12) in Berlin waehrend der Eroeffnungsfeier der Messe "Internationale Gruene Woche". Die Messe findet von Freitag (20.01.12) bis Sonntag (29.01.12) statt. (zu dapd-Text) Foto: Maja Hitij/dapd
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জার্মানির নির্মাণ শিল্প সংস্থার প্রেসিডেন্ট গের্ড জোনলাইটনারছবি: dapd

যেমন একদিকে সর্বাধুনিক কৃষিশিল্প বিজ্ঞান, রসায়ন ও প্রযুক্তির যাবতীয় পন্থা ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করে চলেছে, অন্যদিকে উন্নয়নশীল বিশ্বে চাষের জমি থেকে শুরু করে সেচের পানি এবং বীজধান, সব কিছুর অভাব৷ তাই বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংগঠন এফএও'র নূতন প্রধান হোসে গ্রাৎসিয়ানো দা সিলভা বলছেন: ‘‘বর্তমানেই আমরা বিশ্বের সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করছি৷ তবুও বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে৷ একইসঙ্গে বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ মেদগ্রস্ত, তাদের মাত্রাধিক ওজন৷ সমস্যাটার নাম হল ভুল খাওয়া৷ ... মানুষজনকে শেখাতে হবে, ঠিক কি এবং কিভাবে খাওয়া উচিৎ৷''

জার্মান কৃষিমন্ত্রী ইলসে আইগনার বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলিতে খাদ্যের অপচয়ের কথা৷ শিল্পোন্নত দেশগুলিতে প্রতিবছর যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় করা হয়, সাহারার দক্ষিণের দেশগুলিতে বছরে ঠিক সেই পরিমাণ খাদ্য উৎপাদিত হয়৷ আইগনার বলেন: ‘‘আমরা চরম প্রাচুর্যে থাকি বলে আমাদের এই খাবার ফেলে দেওয়ার সমস্যাটা আছে৷ কেনিয়া কিংবা চীনের মতো দেশে প্রশ্ন হল, সযত্নে উৎপাদন করা খাদ্যপণ্যটাকে কিভাবে মাঠ থেকে এনে গুদামজাত করা যায়, কিভাবে সেটা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছনো যায়৷ যে কোনো পণ্য ফেলে দেওয়ার অর্থই হল অপচয়৷''

এফএএও-প্রধান দা সিলভা বিগত কয়েক মাসে খাদ্যপণ্যের দাম ওঠানামার কথা বলেন৷ এফএও সেই কারণে মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ছোটচাষীদের উৎসাহিত করার উপর জোর দিচ্ছে৷ এফএও চায় স্থানীয় পণ্য আঞ্চলিক বাজারে বিক্রি হোক৷ রাসায়নিক ব্যবহার করে বড় মাপের চাষ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির অর্থ, পরিবেশেরও ক্ষতি৷ তাই দা সিলভা চান উভয় ক্ষেত্রেই সবুজ বিপ্লব৷

জার্মান কৃষিমন্ত্রী ইলসে আইগনার'এর স্বপ্ন আরো অনেকদূর অবধি বিস্তৃত: ‘‘আমাদের আরো দৃঢ়ভাবে ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামে নামতে হবে, সেক্ষেত্রে আরো ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে৷ চাষের জমি নষ্ট, ফসল তোলা, পরিবহন এবং সংরক্ষণে শস্যের অপচয় যতোদূর সম্ভব কমাতে হবে৷ সেই সঙ্গে রয়েছে ভূমি সংস্কার৷ আমি বিশেষভাবে দেখতে চাই, মহিলাদের কিভাবে উৎসাহ দেওয়া যায়, কেননা এই সব দেশগুলিতে কৃষিকাজের মূল ভার থাকে মহিলাদের উপর৷ আফ্রিকায় কৃষিকাজে নিযুক্তদের ৭০ শতাংশ হলেন মহিলা৷''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য