বাসের সিটকে বোরকা ভেবে
৪ আগস্ট ২০১৭বিষয়টি দৃষ্টি কেঁড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও৷ ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ানসহ বড় বড় সব পত্রিকা ফলাও করে ছেপেছে খবরটি৷ অনেক টেলিভিশনও এ নিয়ে রিপোর্ট করেছে৷
নরওয়ের যে গ্রুপটিতে ছবিটি পোস্ট দেয়া হয়েছিল সেটি অভিবাসন বিরোধী৷ গ্রুপের নামটি ইংরেজি করলে দাঁড়ায় ‘ফাদারল্যান্ড ফার্স্ট', আর বাংলায় ‘জন্মভূমি আগে'৷
ছবিটিতে একটি বাসের ছয়টি খালি সিটের ছবি এমনভাবে নেয়া হয়েছে, দূর থেকে একে বোরকা পরা নারী বলেই মনে হয়৷ কিন্তু ভালো করে দেখলে স্পষ্ট হয় বিষয়টি৷
কিন্তু ঐ গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্যই ভালো করে না দেখে মন্তব্য করতে শুরু করেন৷ বেশিরভাগ মন্তব্যই নেতিবাচক ও বর্ণবাদী৷
ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে শত শত মন্তব্য পড়তে থাকে সেখানে৷ কেউ বলছেন, ‘খুবই ভীতিকর, নিষিদ্ধ করা উচিত, তুমি জানো না এর ভেতরে কী আছে....অস্ত্রও থাকতে পারে!' অন্য অনেকেই একে ‘আতঙ্ক' ও ‘উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছেন৷
দেশটির এক সাবেক রাজনীতিবিদের চোখে ভুলটি ধরা পড়ে৷ তাঁর ফেসবুক পোস্ট থেকে সবাই জানতে পারে ঘটনাটি৷
একটি ভুল ছবিকে দেখে এমন মন্তব্যে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন৷ বোরকা ও মুসলিমদের নিয়ে অভিবাসন বিরোধী নরওয়েজিয়ানদের এমন ঢালাও মন্তব্যেরও সমালোচনা হয়েছে৷
গেল কয়েক বছর ধরেই নরওয়েতে অনেক বেশি সংখ্যক মুসলিম অভিবাসীরা আসছেন৷ এতে ক্ষুব্ধ দেশটির জনগণের অভিবাসন বিরোধী অংশটি৷
এই ছবিটি গেল বেশ কিছুদিন ধরে ইউরোপ জুড়ে আলোচিত পোশাক বিতর্ককেও উসকে দিয়েছে৷ এরই মধ্যে নারীদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে মহাদেশটির কোথাও কোথাও৷
নরওয়ের ডানপন্থি সরকারও স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বোরকা নিষিদ্ধের জন্য একটি আইন করার প্রস্তাব করেছে৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মধ্যে নরওয়েই প্রথম এমন উদ্যোগ নিল৷
শুধু বোরকাই নয়, মুখ ঢেকে থাকে এমন কোনো মাস্ক বা অন্য কোনো কাপড় পরাও নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷
আপনি কি মনে করেন বোরকার সঙ্গে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসের কোনো যোগ আছে? লিখুন নীচের ঘরে৷