বিদ্যুতের দাম নিয়ে এফবিসিসিআই’এর উদ্বেগ
৩ জানুয়ারি ২০১২তাই তিনি বিদ্যুতের দাম সবক্ষেত্রে একই হারে না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷ বলেছেন মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে৷
মহাজোট সরকারের ৩ বছরে জাতীয় গ্রিডে মোট ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে৷ আর এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল দিয়ে৷ ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ছে অনেক বেশি৷ ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে আরো ১৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের৷ এই বিদ্যুৎ উৎপাদনেও উচ্চমূল্যের ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করা হবে৷ একদিন আগে তাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ যেমন বাড়বে, বিদ্যুতের দামও বাড়বে৷ এর কারণ ডলারের বিপরীতে টাকার মানের অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি৷
এর প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদ বলেন, ঢালাও ভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ঠিক হবেনা৷ ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পের জন্য বিদ্যুতের দাম একই হতে পারেনা৷ তা যদি হয় তাহলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে ৷ দ্রব্যমূল্য বাড়বে৷
এ.কে আজাদ বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প৷ তাদের উৎপাদন বন্ধে হয়ে গেলে বিদেশি পণ্য বাংলাদেশের বাজার দখল করে নেবে৷
তার মতে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার উচিত মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনা৷ আর তা কমিয়ে আনা গেলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে৷ তখন বিদ্যুতের দাম সহনীয়ভাবে বাড়ানোর চিন্তা করা যেতে পারে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক