ক্ষুধাপীড়িত মানুষ
২ অক্টোবর ২০১৩বিশ্বে যেমন অর্থনৈতিক মন্দা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে খাদ্য দ্রব্যের দাম৷ এ কারণে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষুধায় পীড়িত মানুষের সংখ্যা৷ মঙ্গলবার জাতিসংঘ প্রকাশিত রিপোর্টেও এই চিত্র উঠে এসেছে৷ বর্তমানে বিশ্বে চরম ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ২০ লাখে৷
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৮৬ কোটি ৮০ লাখ৷ সে তুলনায় ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের জরিপে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা কমেছে৷
এফএও-র এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, ৮৪ কোটি ২০ লাখের মধ্যে ৮২ কোটি ৬৬ লাখ মানুষের বাস অনুন্নত দেশগুলোতে৷
দক্ষিণ এশিয়ায় সংখ্যাটা একেবারে চমকে দেয়ার মতো ২৯ কোটি ৫০ লাখ৷ আর সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকায় এই চিত্রটা আরো ভয়াবহ৷ সেখানে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন চরম খাদ্যাভাবে রয়েছেন৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো, সেখানে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যাটাও কম৷ যেসব দেশে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে, সেখানে খাদ্যাভাবও কম৷
রিপোর্টে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু এলাকার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এসব জায়গায় তারা ক্ষুধার সাথে লড়তে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যাও সেখানে অনেক কমেছে৷ তবে পশ্চিম আফ্রিকায় কোনো উন্নতি হয়নি এবং আফ্রিকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে উন্নতির গতি খুবই ধীর৷
এ অবস্থায় জাতিসংঘের সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে হলে বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার অন্তত ১২ ভাগের নীচে নামিয়ে আনতে হবে দারিদ্র্যের হার৷ বর্তমানে এই হার ১৪.৩ ভাগ৷ এফএও-র মতে, ৬২টি দেশ এই লক্ষ্যপূরণে সক্ষম হয়েছে, আর ছয়টি দেশ ২০১৫ সালের মধ্যে ঐ লক্ষ্যপূরণে সক্ষম হবে৷
২০১৫ সালের মধ্যে ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য জাতিসংঘ নিয়েছে, তাতে তারা পৌঁছাতে আদৌ সক্ষম হবে কিনা – সেটাই এখন দেখার বিষয়৷
এপিবি/ডিজি (ডিপিএ)