বুন্ডেসলিগা – অর্থের বিচারেও ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন
১০ জুলাই ২০১৩খেলাধুলায় সাফল্যের ক্ষেত্রে এ বছর ইউরোপের অন্যান্য লিগগুলোর বুন্ডেসলিগার ধারে-কাছে আসার সামর্থ্য নেই – বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর বায়ার্ন মিউনিখ, দু'টি জার্মান দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল, তাও আবার লন্ডনের ওয়েম্বলে স্টেডিয়ামে, এই অভূতপূর্ব ঘটনাই তার প্রমাণ৷ ওদিকে আর্থিক দিক থেকেও বুন্ডেসলিগার সাফল্য দেখার মতো৷
২০১১-১২ সালে ইউরোপীয় ফুটবলের মোট টার্নওভার বা ব্যবসা ছিল প্রায় বিশ বিলিয়ন বা দু'হাজার কোটি ইউরো৷ এই হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ প্রায় ৩০০ কোটি ইউরোর ব্যবসা নিয়ে প্রথম স্থানে, কিন্তু তার পরেই আসে বুন্ডেসলিগা, যাদের টার্নওভার ছিল ২০০ কোটি ইউরো৷ তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ছিল স্পেনের প্রিমেরা ডিভিজিওন ও ইটালির সেরিয়ে আ৷ পঞ্চম স্থানে ফ্রান্সের লিগ অ্যাঁ৷
তবে অপারেটিং প্রফিট বা মুনাফার হিসেবে বুন্ডেসলিগা এই নিয়ে চতুর্থবার ইউরোপ-সেরা৷ এবারেও বুন্ডেসলিগার মোট মুনাফা হলো ১৯ কোটি ইউরো৷ একদিকে আমদানি বেড়ে চলেছে, অন্যদিকে বুন্ডেসলিগার অপারেটিং কস্ট বা কাজ চালানোর খরচ অন্যান্য লিগগুলোর তুলনায় কম৷ তার একটা কারণ, জার্মান ক্লাবগুলোর প্লেয়ারদের মাইনে ইউরোপের অন্যান্য লিগগুলোর তুলনায় কম৷
কম বলতে, জার্মান ক্লাবগুলোর যা মোট আমদানি, তার কম-বেশি ৫০ শতাংশ যায় প্লেয়ার ও কর্মকর্তাদের মাইনেয় – স্পেনে যেখানে মোট আমদানির ৬০ শতাংশ, ইংল্যান্ডে ৭০ শতাংশ, ফ্রান্সে ৭৪ শতাংশ এবং ইটালিতে ৭৫ শতাংশ ব্যয় করতে হয় ফুটবল তারকাদের খুশি রাখতে৷ অন্যদিকে বুন্ডেসলিগা ক্লাবগুলোর ফ্যানশপ থেকে বিক্রিও বেড়েছে শুধু এক বছরে ১৮ শতাংশ৷
সেই সূত্রেই বলা চলে: বুন্ডেসলিগার স্টেডিয়ামগুলোর পরিবেশ অতুলনীয়৷ ফ্যানরা তাদের ক্লাবগুলোকে জানপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে৷ বুন্ডেসলিগার একটি স্টেডিয়ামে ফ্যানদের উপস্থিতি আর আচার-ব্যবহারই প্রমাণ করে দেয়, বুন্ডেসলিগায় আজও কতটা জান আছে, নেশা আছে, চমক আছে৷ কাজেই বুন্ডেসলিগার খেলাগুলোতে দর্শকসংখ্যা হলো গড়ে ৪৪ হাজার, যা কিনা ইউরোপে সর্বোচ্চ৷ শুধু বুন্ডেসলিগা এবং স্পেনের প্রিমেরা ডিভিজিওনেই এই দর্শকসংখ্যা বেড়ে চলেছে৷