বুন্ডেসলিগা: আগামী মরশুমের প্রস্তুতি
৩১ মে ২০১৩সফ্টওয়্যার জায়ান্ট এসএপি-র যুগ্ম-প্রতিষ্ঠাতা ডিটমার হপ প্রায় একক প্রচেষ্টায় – এবং অর্থানুকুল্যে – হফেনহাইমকে ধূমকেতুর মতো বুন্ডেসলিগার আকাশে তুলে দেন৷ ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে হফেনহাইম থার্ড ডিভিশন থেকে ফার্স্ট ডিভিশন, অর্থাৎ বুন্ডেসলিগায় উঠে আসে৷ উঠেই প্রথম মরশুমে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়৷
আবার ধূমকেতুর মতোই হফেনহাইমের পতন ঘটতে চলেছিল৷ সদ্যসমাপ্ত মরশুমের শেষে হফেনহাইম যে রেলিগেশনে আসার সুযোগ পায়, সেটাই আশ্চর্য৷ এ যেন ফাঁসি হওয়ার আগের মুহূর্তে কোনোক্রমে মাথাটা ফাঁস থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া৷ তারপর অবশ্য কাইজার্সলাউটের্নকে অ্যাগ্রেগেটে ৫-২ গোলে হারাতে হফেনহাইমের বিশেষ বেগ পেতে হয়নি৷
ব্রেমেনের কোচ হলেন রবিন ডুট
জার্মানি প্রবাসী বাঙালি মাত্রেই মুচকি না হেসে পারবেন না৷ কেননা রবিন ডুট-এর ডুট-টা হলো বাঙালি পদবি দত্ত, যেটা ইংরেজদের পাল্লায় পড়ে ডাট হয়েছিল৷ রবিন ডুটের বাবা বাঙালি৷ তিনি জার্মানিতে আসার পর সেই ডাট জার্মানদের পাল্লায় পড়ে হয় ডুট৷ এখন সেই গোলমেলে গোলকধাঁধাঁর জট ছাড়ানোর উপায় কিংবা প্রয়োজন নেই মনে করে বাঙালি, ইংরেজ, জার্মান, সকলেই ‘‘ডুট''-কেই মেনে নিয়েছেন৷
আসল কথা হলো, জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের স্পোর্টিং ডাইরেক্টর ডুট সে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র দশ মাস পরেই আবার কোচ হবার দুর্নিবার আকর্ষণ সামলাতে পারেননি৷ ডুট তো নামই করেন ফ্রাইবুর্গের কোচ হিসেবে৷ পরে বায়ার লেভারকুজেনে একটা সিজন তাঁর ভালো কাটেনি, সেটা মিশায়েল বালাকের সঙ্গে তাঁর বনেনি বলে৷ কাজেই ডুট এবার ভের্ডার ব্রেমেনের ওয়েবসাইটে লিখেছেন: ‘‘আবার কোচ হিসেবে বেঞ্চে বসতে পেয়ে আমি খুব খুশি৷''
বায়ার্নে যাচ্ছেন লেভানডোভস্কি
এ মরশুমে ডর্টমুন্ডের সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো খেলোয়াড় ছিলেন ২৪ বছর বয়সি রবার্ট লেভানডোভস্কি, যিনি বস্তুত পোল্যান্ডের জাতীয় খেলোয়াড়৷ তাঁর এজেন্ট সেজারি কুচার্স্কি ওয়ারশতে বলেছেন, লেভানডোভস্কি এবং তাঁর তরফ থেকে ব্যাপারটা পরিষ্কার, যদিও এখনও দুই ক্লাবের একমত হওয়া বাকি৷ চুক্তিও এ যাবৎ কিছু স্বাক্ষর হয়নি৷ তবে লেভানডোভস্কির বায়ার্ন যাত্রা ‘‘এক, দু' সপ্তাহের মধ্যেই'' নিশ্চিত হয়ে যাবে বলে কুচার্স্কির ধারণা৷
বায়ার্নের আরেকটা খবর হল, ফ্রঙ্ক রিবেরি নাকি বায়ার্নের সঙ্গে তাঁর চুক্তি ২০১৭ সাল অবধি বাড়াতে সম্মত হয়েছেন৷ ওদিকে মারিও গোয়েটৎসে এবং সম্ভবত রবার্ট লেভানডোভস্কিকে খোয়ানোর পর ডর্টমুন্ডও যে এক-আধটা নতুন প্লেয়ার আনছে না, এমন নয়৷ গ্রিসের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার সোক্রাটিস পাপাস্টাথোপুলোস একটি পাঁচ বছরের চুক্তি নিয়ে ব্রেমেন থেকে আসছেন ডর্টমুন্ডে৷ ওদিকে শালকে আবার নিচ্ছে ডর্টমুন্ডের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফেলিপে সান্তানাকে৷
বুন্ডেসলিগার, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের চাকা যথারীতি ঘুরে চলেছে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ, এএফপি)