বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত
২৬ আগস্ট ২০১৬ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সই সবার আগে মুসলিম নারীদের সম্পূর্ণ মুখ-চোখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করে৷ ২০১০ সালে আইন প্রণয়ন করেই এই নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ নেয়া হয়৷ সে বছরের অক্টোবরে আইন প্রণয়ন করা হয় আর আইনের প্রয়োগ শুরু হয় ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে৷ তারপর থেকে প্রকাশ্যে সম্পূর্ণ মুখ-চোখ ঢাকা কিংবা শুধু চোখ দেখানো বোরকা পরা বন্ধ করতে বেশ কঠোর অবস্থান নেয় ফরাসি প্রশাসন৷
সম্প্রতি মুখ দেখা যায় এমন পোশাক ‘বুর্কিনি' পরাও নিষিদ্ধ করা হয় ফ্রান্সের ভিলনভ-লুবে শহরে৷ এই নিষেধাজ্ঞার কয়েকদিনের মধ্যে উদার গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে পরিচিত ফ্রান্স আরো কয়েকটি শহর এবং সমুদ্র সৈকতেও এমন পোষাক পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷
মুসলিম নারীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার এক ফ্যাশন ডিজাইনারের তৈরি এই সাঁতারের পোশাকের ওপর ফ্রান্সে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায়, বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় বিতর্ক৷ এই নিষেধাজ্ঞাকে মানুষের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে নিষেধাজ্ঞাটি প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিশ্বের অধিকাংশ মানবাধিকার সংস্থা৷ লন্ডন-বার্লিনসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে নামে প্রতিবাদের মিছিল৷
এরপর শুক্রবার, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত বুর্কিনির ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাটি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়৷ এক বিবৃতিতে আদালত বলে, এ নিষেধাজ্ঞা ভয়ংকরভাবে মানুষের (কোনো স্থানে) যাওয়া-আসার মৌলিক স্বাধীনতা, কিছু বিশ্বাস করার স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে৷
এভাবে সমালোচনা করে বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিলেও নর্দান করর্সিকায় অবস্থিত সিসকোর মেয়র জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অঞ্চলে বুর্কিনির ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখবেন৷
এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি)
আপনি বুর্কিনি ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে না বিপক্ষে? আপনার মন্তব্য লিখুন নীচের ঘরে৷