বেলজিয়ামে হালাল ও কোশার নিয়ে সংশয় জাগানো আইন
২০ ডিসেম্বর ২০২০২০১৭ সালে বেলজিয়ামের ফ্লান্ডার্স অঞ্চল একটি আইন প্রণয়ন করে, যাতে বলা হয়, জবাই করার আগে প্রাণীকে বৈদ্যুতিক শক দিতে হবে৷ কিন্তু জবাইয়ের আগে শক দিয়ে মারলে সেই প্রাণীকে হালাল বা কোশার পণ্য হিসাবে গণ্য করা হবে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক৷ বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত জানায় যে, এই আইনকেই বহাল রাখার পক্ষে তারা৷ সংবাদসংস্থা রয়টার্স বলছে, এতে করে ইউরোপের অন্যান্য দেশে এমন আইন প্রণয়ন করার পথ খুলতে পারে৷
এই আইনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সাল থেকেই সরব ছিল বিভিন্ন ইহুদি ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন৷ তারা তখন বলেন যে, কোনো প্রাণীর মাংস হালাল বা কোশার হতে গেলে সেই প্রাণীকে আগে শক দেওয়া যাবে না৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালতের মত, বেলজিয়ান আইনটি বহাল রাখাই সঠিক, কারণ, ধর্মে প্রচলিত আচারকে এই আইন সম্পূর্ণভাবে খারিজ করছে না৷
একই সাথে, এই শক দেওয়াতে আংশিকভাবে ধর্মচর্চায় বিঘ্ন ঘটবে, তা স্বীকার করে আদালত৷ কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সার্বিক প্রাণিকল্যাণ নীতির কথা মাথায় রেখেই আদালত এমন রায় দিয়েছে৷
পক্ষে ও বিপক্ষে যারা
এই রায়ের প্রতিবাদে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবুর্গে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এমানুয়েল নাহশন একটি টুইট করেন৷ সেখানে তিনি বলেন, এই রায় ‘সর্বনাশা সিদ্ধান্ত, যা ইউরোপের ইহুদি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করবে’৷ টুইটে তিনি আরো বলেন, ‘‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এখন আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করে না৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোর্ট অফ জাস্টিস তার সদস্যরাষ্ট্রগুলিকে এক্তিয়ার দিচ্ছে বিধিসম্মত কসাইখানায় ধর্মীয় জবাইকে নিষিদ্ধ করার৷’’
এদিকে, এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বেলজিয়ানের প্রাণী অধিকার সংস্থা ‘গ্লোবাল অ্যাকশন ইন দ্য ইন্টারেস্ট অফ অ্যানিমেলস' বা জিএআইএ৷ তারাও একমত যে, এই রায় ইউরোপের অন্যান্য দেশে সমধর্মী আইন প্রণয়নের পথ খুলবে৷ কিন্তু বেলজিয়ামের ইহুদি সংগঠন সিসিওজেবি জানিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলনও চলবে৷
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)
২০১৯ সালের অক্টোবরের ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখুন...