দরজা খুলেছে সৌদি আরব
২৫ জুন ২০১৩দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবৈধ বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট, কাগজপত্র প্রস্তুত এবং আবেদন তৈরিতে পালাক্রমে রাত-দিন কাজ করছেন৷
সৌদি আরবে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে কমপক্ষে চার লাখ বাংলাদেশি সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন৷ সৌদি সরকার বাংলাদেশসহ এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশের অবৈধ নাগরিকদদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে৷ গত ১০ই মে থেকে এই সুযোগ কার্যকর হয়েছে এবং ৩রা জুলাই পর্যন্ত সুযোগ বহাল থাকবে বলে জানা গেছে৷
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ডয়চে ভেলেকে জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি সেখানকার বাংলাদেশি দূতাবাসে বৈধতার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছে৷ তাঁদের কাগজপত্র দ্রুত প্রস্তুত করতে দূতাবাসে বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্তি জনবল পাঠানো হয়েছে, দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত বরাদ্দ৷ তাঁর আশা, শেষ সময়ের মধ্যে সব অবৈধ বাংলাদেশিই আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ এই সুযোগ যাতে কারুর হাতছাড়া না হয়, সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিকভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে৷ জাফর আহমেদ খান জানান, যাঁরা অবৈধভাবে অনেকদিন ধরে সৌদি আরবে আছেন তাঁরা দেশে ফিরতে চাইলেও ফেরার সুযোগ আছে৷ তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের অবস্থান যেমন পুরোপুরি বৈধ হবে, তেমনি সেখানে বাংলাদেশ থেকে নতুন জনশক্তি রপ্তানিরও সুযোগ তৈরি হবে৷
তিনি জানান, সৌদি সরকার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার নতুন জনশক্তি নেয়ার কথা ঘোষণা করেছে৷ এজন্য জনশক্তি রপ্তানিকারক ১০টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদনও দেয়া হয়েছে৷ ড. জাফর আহমেদ খান জানান, হয়ত এই সাধারণ ক্ষমার পরই বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া শুরু হবে৷ সৌদি আরবকে গৃহস্থালিসহ, বেসরকারি ও সাধারণ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি দক্ষ এবং অদক্ষ মানুষের চাহিদা জানানো হয়েছে৷
২০০৮ সাল থেকে সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়া কমিয়ে দেয়৷ এরপর বন্ধ করে দেয় ২০০৯ সাল থেকে৷ এর প্রধাণ কারণ ছিল সৌদিকরণ নীতি৷ তখন থেকেই সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় এলাকার লোকজনকেই একমাত্র কাজে নিয়োগ করার উত্সাহ দেয়া হয়৷ কিন্তু প্রায় পাঁচ বছরের মাথায় সেই নীতিতে পরিবর্তন এসেছে৷
এর আগে মালয়েশিয়াতেও বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীরা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পেয়েছেন৷ সেখানেও বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য দরজা খুলে গেছে৷