‘বোমা ইয়েমেনে শান্তি নয়, মৃত্যু আনবে'
৩০ মার্চ ২০১৫তাঁরা বলছেন, হুতি বিদ্রোহীরা যতক্ষণ পর্যন্ত না অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত ইয়েমেনে অভিযান চালানো হবে৷
ইয়েমেন সংকটের মূল কারণ হিসেবে সুন্নি প্রধান সৌদি আরব ও শিয়া প্রধান ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথাই বলছেন গবেষক ড. নুসাইবাহ ইউনিস৷ সৌদি আরবের আকাশ থেকে বিমান হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত ইরানের সঙ্গে সৌদির প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলেও মনে করেন তিনি৷ লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি কলাম লিখেছেন ড. ইউনিস৷
তবে সানা উকবা মনে করেন, ইয়েমেনের ঘটনা শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বের কোনো ফল নয়, বরং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব৷ আল-আরাবি আল-জাদিদ ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে তাঁর একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে৷
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে বহুদিন ধরে সাংবাদিকতা করা রবার্ট ফিস্ক ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় লিখেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুদ্ধের শুরু হলো ইয়েমেনে৷ সৌদি আরব ইয়েমেনে হামলা শুরুর পর তিনি এই মন্তব্য করেন৷
যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবায়ের বলছেন, ইয়েমেনে সৌদি অভিযান ইরানের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নয়, বরং এটা ‘প্রয়োজনের জন্য যুদ্ধ'৷
রাজা রুমি লিখেছেন, ‘‘হাসবো নাকি কাঁদবো? বাস্তবতা হচ্ছে, সাতটি রাজতন্ত্র ও একটি সামরিক শাসনতন্ত্র ইয়েমেনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বোমা মারছে!''
আলি আবুনিমাহ মনে করেন, বোমা মেরে ইয়েমেনে ‘শান্তি' কিংবা ‘স্থিতিশীলতা' আনা যাবে না৷ এসব শুধু মৃত্যুই ডেকে আনবে৷
এদিকে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বাংলাদেশের দুই প্রকৌশলী আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ তাঁরা হলেন গোলাম মোস্তফা এবং মো. সিরাজুল হক৷ যুদ্ধের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফিরতে পারছেন না তাঁরা৷ ইয়েমেনে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় তাঁরা কোনো সহায়তাও পাচ্ছেন না৷ তবে ঘটনাটি শুনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিডিনিউজকে বলেন, তাঁরা কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ওই দুই প্রকৌশলীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন