ড্রিমলাইনারের উড়ান বন্ধ
১৭ জানুয়ারি ২০১৩মার্কিন বোয়িং বিমান কোম্পানির সর্বাধুনিক বোয়িং ৭৮৭ বিমানের ব্যাটারিতে ত্রুটি ধরা পড়ার পর, মার্কিন বিমান পরিবহন নিয়ামক সংস্থা এফএএ যে সতর্কতা জারি করেছে, তার ভিত্তিতে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ৬টি বোয়িং ৭৮৭ বিমান বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
বিমান পরিবহন মন্ত্রী অজিত সিং বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়ে বলেন, মার্কিন বিমান পরিবহন নিয়ামক সংস্থা এফএএ সবুজ সংকেত না দেয়া পর্যন্ত বোয়িং ড্রিমলাইনারের উড়ান বন্ধ থাকবে৷ সমস্যা কতটা গুরুতর, সমাধানে কতটা সময় লাগবে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘২/১ দিনের মধ্যেই তা জানা যাবে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫০টির মতো এই ধরণের বিমান এক বছর ধরে ৫০ হাজার মাইল চলাচল করেছে৷ আশা করি, কোম্পানি যত শীঘ্র সম্ভব এর সমাধান করতে পারবে৷''
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী বলেন, তিনি এফএএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷ তারা জানিয়েছে যে, এই শ্রেণির সব বিমানের ব্যাটারিসহ পুরো সিস্টেম আগাগোড়া পরীক্ষা করা হবে৷ যেমন ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়া, জ্বালানি লিক করা, ককপিটের সামনের কাঁচে চিড় ধরা ইত্যাদি৷ যতটা জানা গেছে, বোয়িং কোম্পানি বিমানের ব্যাটারি ও ইলেক্ট্রিকাল সিস্টেম আবারও পরীক্ষা করে দেখার এক পরিকল্পনা পেশ করেছে এফএএ-র কাছে৷ তাই এফএএ নিরাপত্তার সার্টিফিকেট দেবার পরই ড্রিমলাইনারের উড়ান আবার শুরু হবে৷
উল্লেখ্য, ব্যাটারির ত্রুটি প্রথম ধরা পড়ে জাপানের নিপ্পন এয়ারলাইনস এবং জাপান এয়ারলাইনস-এর উড়ানে৷ সেসময় ব্যাটারি অত্যধিক গরম হওয়ার বিপদ সংকেত দেখা যায়৷ বিমানে থাকে দুটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি যা বিদ্যুৎ জোগায় বিমানে৷
এই ত্রুটি দ্রুত সংশোধন করতে না পারলে বোযিং কোম্পানি পড়বে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে৷ একদিকে যাত্রীসাধারণের আস্থা কমে যাবে, অন্যদিকে কোম্পানির অর্ডার হবে হাতছাড়া৷
বর্তমানে প্রায় ৮০০টি এই ধরণের বিমানের অর্ডার আছে বোয়িং কোম্পানির হাতে৷ ভারতের বাজারে বোয়িং-এর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ইউরোপীয়ান এয়ারবাস৷ সেক্ষেত্রে ভারতের বাজারে এয়ারবাসের সঙ্গে পাল্লা দেয়া বেশ কঠিন হবে বোয়িং-এর পক্ষে৷