কক্সবাজারে হামলা
৪ অক্টোবর ২০১২শনিবার রাতে রামু এবং এরপর উখিয়া, মহেষখালী ও পটিয়ায় বৌদ্ধ বিহার এবং বসতিগুলিতে আগুন ও হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তদন্তে৷ আগুন দিতে গান পাউডার ও পেট্রোল ব্যবহারের অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ হামলায় ব্যবহার করা হয় সিমেন্টের ছোট ছোট ব্লকও৷ আর হামলাকারীরা আসে ট্রাকে করে৷ কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গির ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, আগুন দিতে পেট্রোল ব্যবহারের প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন৷ এছাড়া, কারা তা সরবরাহ করেছে তাও জানা গেছে৷ এখন সিআইডি'র বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখছেন গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা৷
তিনি জানান, হামলা এবং আগুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত প্রায় ২শ' ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এখন তাঁরা হমলার সময়ের ভিডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র এবং আলামত থেকে আরো যারা জড়িত তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবেন৷
পুলিশ সুপার দাবি করেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে৷ তাই রামুসহ অন্যান্য এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেয়া হয়েছে৷ শুধু উখিয়ায় রাতে ১৪৪ ধারা বহাল রাখা হয়েছে৷
এদিকে হাইকোর্ট বুধবার স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ প্রধান ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ ১০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে৷ কক্সবাজারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন, বৌদ্ধ বিহার আর বৌদ্ধ বসতির নিরপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে আগামী সাত দিনের মধ্য এই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ