1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ব্রাজিল কিন্তু ইরাক নয়’

৮ মে ২০১৪

বিশ্বকাপ শুরু হতে একমাস বাকি৷ ব্রাজিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়, দুশ্চিন্তা এখনো কাটেনি৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, ‘‘ভয় পাবেন না, ব্রাজিলের পরিস্থিতি ইরাক বা আফগানিস্তানের মতো নয়৷’’

https://p.dw.com/p/1BvAK
Fußball Weltmeisterschaft Brasilien 2014 Maskottchen Fuleco
ছবি: Getty Images/AFP

আলডো রেবেলো কথাটা বলেছেন মূলত ইংল্যান্ড ফুটবল দলের উদ্দেশ্যে৷ ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোয় গত মাসে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই থেকে নিরাপত্তা নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল তা দূর হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই৷ বরং গত সপ্তাহে কোপাকাবানা সৈকতের কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা৷ ২০১৪ বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচ হবে রিও ডি জানেরোয়৷ আর কোপাকাবানা সৈকতের কাছেরই এক হোটেলে থাকবে ইংল্যান্ড দল৷ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ইংলিশরা তাই মহাদুশ্চিন্তায়৷

কয়েকদিন আগে ইংল্যান্ড দলের কোচ রয় হজসন জানান, কোপাকাবানার কাছাকাছি যাতে দল নিয়ে থাকতে না হয় তা তাঁরাও চান৷ ভেন্যু পরিবর্তন করা গেলে খুশি হতেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ এদিকে ব্রিটেনের কয়েকটি পত্রিকা ইংল্যান্ড দল যেখানে থাকবে, সেই মানাউস এলাকাকে বর্ণনা করেছে ‘খুনে মানাউস' হিসেবে৷ এরপর আর চুপ থাকেন কী করে আলডো রেবেলো? ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী তাই ইংলিশদের খানিকটা কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘মানাউসে ইংলিশদের ইরাক বা আফগানিস্তানের চেয়ে বড় কোনো হুমকির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে হয়না৷ সেখানে তো তাঁদের কয়েক হাজার সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন!''

এভাবে কটাক্ষ করলেও ক্রীড়ামন্ত্রী অবশ্য রিও ডি জানেরোর বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘শান্তিপূর্ণ' বলছেন না৷ রিও-তে ছোটখাটো হাঙ্গামা সবসময় কমবেশি লেগেই থাকে – এ কথা স্বীকার করে তিনি জানান, বিশ্বকাপের সময় পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তা নিশ্চিত করার সব চেষ্টাই চলছে৷ বিশ্বকাপের সময় দেড় লক্ষ পুলিশ তো থাকবেই, সঙ্গে আরো যোগ হবে ২০ হাজার বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী৷ এ সপ্তাহ থেকে অতিরিক্ত দু হাজার পুলিশ মোতায়েন করেছে রিও ডি জানেরো কর্তৃপক্ষ৷ আগামী ১২ই জুন থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ৷ এবারের ফাইনালও হবে রিও ডি জানেরোয়৷

এসিবি/এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য