ম্যানচেস্টার সন্ত্রাসী হামলা
২৫ মে ২০১৭ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে এক জিহাদি নেটওয়ার্ক আছে, যা আরও হামলার ছক কষছে – এমন সন্দেহের ভিত্তিতে ব্রিটেনের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ তাদের ধরতে জোরালো অভিযান চালাচ্ছে৷ পুলিশ এই নিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে৷ তাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও এক জন নারী৷ ম্যানচেস্টার শহরের বাইরেও তদন্ত চলছে৷ শহরের দক্ষিণে তল্লাশি চালানোর সময় তারা একটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে৷
এদিকে লিবিয়ায় হামলাকারী সালমান আবেদির বাবা রামাদান ও ছোট ভাই হাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ লিবীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাশেম তার ভাইয়ের হামলার ষড়যন্ত্রের কথা জানতো৷ গত প্রায় দেড় মাস ধরে হাশেমের উপর পুলিশ নজর রাখছিল৷ ত্রিপোলি শহরে সে হামলার ষড়যন্ত্র করছিল বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছিল৷ দুই ভাই তথাকথিত ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সদস্য বলে লিবিয়া দাবি করছে৷ হাশেম সে কথা স্বীকারও করেছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ সে ব্রিটেনে গিয়ে তার ভাইকে হামলার প্রস্তুতির কাজে সহায়তা করেছে৷
তাদের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, হামলার ৪ দিন আগে সালমান আবেদি লিবিয়া থেকে ম্যানচেস্টার পৌঁছেছিল৷ ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার কলোঁব জানিয়েছেন, সালমান সম্ভবত লিবিয়া থেকে সিরিয়ায় গিয়েছিল৷ তাঁর মতে, আইএস-এর সঙ্গে তার যোগসূত্রনিয়ে এখন আর তেমন সন্দেহ নেই৷
ম্যানচেস্টারে হামলার পর ব্রিটিশ পুলিশ তদন্তের স্বার্থে হামলাকারীর পরিচয়সহ অনেক তথ্য প্রথমদিকে গোপন রাখতে চেয়েছিল৷ কিন্তু মার্কিন সূত্রে সে সব সংবাদ মাধ্যমের কাছে ফাঁস হয়ে যায়৷ নিউ ইয়র্ক টাইমস এমনকি হামলায় ব্যবহৃত ডিটোনেটরসহ অনেক বস্তুর ছবি প্রকাশ করেছে৷ মার্কিন প্রশাসন থেকে সেসব তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷
এর ফলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চরম বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে৷ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ তার আগে তিনি লন্ডনে কোবরা কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন৷ এমনকি ভবিষ্যতে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে কিছু মহল মনে করছে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)