ব্রিটিশ রাজবাড়ির মোহে বিভোর হলিউড
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১কিন্তু অস্কার রজনী যতোই এগিয়ে আসছে, ততোই বোঝা যাচ্ছে, ‘কিংস স্পীচ' এবার ২৭শে ফেব্রুয়ারি দুনিয়া মাত করবে৷ সেরা ছবি সহ ১২টি বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ছবি৷ কিন্তু তার সৌন্দর্য এবং সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে, এক কথায়, আমেরিকানদের ব্রিটেনের রাজপরিবার সম্পর্কে মোহ৷ হাজার হোক, মার্কিনিদের আর সবই আছে, শুধু কোনো রাজপরিবার নেই৷ হলিউডের নায়ক-নায়িকা, এমনকি হোয়াইট হাউসের বাসিন্দাদের কেচ্ছা-কাহিনী নিয়ে এক ধরনের রাজকীয় রোমাঞ্চের আমেজ পাওয়া যায় বটে, কিন্তু ব্রিটেনের রাজপরিবারের ইতিহাস তো ব্রিটেন তথা মানবজাতির ইতিহাসের সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়ানো৷
কাজেই মর্মস্পর্শী কাহিনী, জমাটি চিত্রনাট্য, খাঁটি ব্রিটিশ এ্যাকসেন্টে সংলাপ বলা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে ‘কিংস স্পীচ'-এর মতো কোনো ব্রিটিশ পিরিয়ড ফিল্ম এলে হলিউডের সকলেই রুমাল ভিজিয়ে ফেলেন৷ তায় আবার সামনে আসল রয়াল রোমান্স: এপ্রিলে প্রিন্স উইলিয়াম আর কেট মিডলটনের বিয়ে৷
বাকিটা অস্কারের ইতিহাস: ২০০৬ সালে হেলেন মিরেন ‘‘দ্য কুইন'' ছবিতে রাণী এলিজাবেথ সেজে অস্কার পান৷ ১৯৯৮ সালে ‘‘শেক্সপীয়র ইন লাভ'' সাতটা অস্কার পেয়েছিল, তার মধ্যে ডেম জুডি ডেঞ্চ পেয়েছিলেন একটি, স্বল্পসময়ের জন্য রাণী প্রথম এলিজাবেথ সাজার জন্য৷ শেক্সপীয়রের নাটক দেখতে গেলে ব্রিটিশ অভিনেতা এবং ব্রিটিশ উচ্চারণ চাই, এটা সব আমেরিকান মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে৷ - কাজেই ‘‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক''-এর মতো খাঁটি মার্কিন ছবিকেও এবার মার খেতে হল মার্কিনিদের এই অহেতুকী ব্রিট্রিশ রোমান্সের জন্য৷
তা নয়, বর্তমান হারল অতীতের কাছে, বাস্তব হারল রোমান্সের কাছে, ব্যবহারিক জীবন হারল মনুষ্যপ্রকৃতির কাছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম