ব্রেক্সিট সম্পর্কে ম্যার্কেলের কথা
২৭ এপ্রিল ২০১৭আগামী শনিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৭টি সদস্যদেশ ব্রেক্সিট নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য ব্রাসেলসে একটি শীর্ষবৈঠকে মিলিত হচ্ছে৷ তার দু'দিন আগে ম্যার্কেল জার্মান সংসদকে এ বিষয়ে সরকারের নীতি ও অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করেন৷ তবে তাঁর বক্তব্যের একাংশ যে ইংলিশ চ্যানেলের ওপারের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না৷
তাদের প্রতি ম্যার্কেলের মূল বার্তা ছিল, ব্রেক্সিট-পরবর্তী সম্পর্কের ক্ষেত্রে লন্ডন এমন কোনো চুক্তি প্রত্যাশা করতে পারে না যা যুক্তরাজ্যকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেবে৷ ‘‘একটি তৃতীয় পক্ষের দেশ একটি ইইউ দেশের সমান অথবা তার চেয়ে সুবিধাজনক শর্ত ভোগ করতে পারে না,'' বলেন ম্যার্কেল৷ ‘‘ব্রিটেনের কিছু মানুষের এ ব্যাপারে এখনও বিভ্রম আছে বলে আমার ধারণা৷ ওরা নিজেদের সময় নষ্ট করছেন,'' যোগ করেন ম্যার্কেল৷
ম্যার্কেলের এই বক্তব্যে বুন্ডেসটাগের সদস্যরা করতালি দিয়ে হর্ষ প্রকাশ করেন৷ অপরদিকে ম্যার্কেল বলেন যে, ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগের খুঁটিনাটি – যেমন ইইউ ত্যাগের পরেও ব্রিটেনের ইইউ সংশ্লিষ্ট আর্থিক দায়দায়িত্ব ইত্যাদি নির্ধারিত হবার আগে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক সংক্রান্ত কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে না৷ ‘‘এই পদক্ষেপগুলি ঐ ক্রমানুসারে সম্পন্ন করতে হবে৷ আমাদের লক্ষ্য হলো ইউরোপ ও তার নাগরিকদের জন্য সেরা চুক্তি সম্পাদন করা,'' বলেন ম্যার্কেল৷
৮ই জুন ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের পরেই আন্তরিক আলাপ-আলোচনা শুরু হতে পারে বলে ম্যার্কেল মনে করেন৷
শুধু সাবধানবাণীই নয়
ম্যার্কেল এ-ও বলেন যে, একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী ব্রিটেন জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্যও দরকার৷ তিনি বলেন, প্রায় এক লাখ জার্মান নাগরিক স্থায়িভাবে যুক্তরাজ্যে বাস করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ মর্যাদার প্রশ্নকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন৷ পরিবর্তে জার্মানি ও ইইউ ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকদের একটি ‘ন্যায্য চুক্তির' প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত বলে ম্যার্কেল ঘোষণা করেন৷
জার্মান চ্যান্সেলর এ আশা প্রকাশ করেন যে, ইইউ এবং ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনের বিভিন্ন যৌথ স্বার্থ থাকবে, যেমন পণ্যের বেচাকেনা বা সন্ত্রাসবাদ ও সংগঠিত অপরাধবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামের মতো ক্ষেত্রে৷
জেফারসন চেজ/এসি