উদার হচ্ছে নেদারল্যান্ডস
৫ ডিসেম্বর ২০১২ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা রোধে প্রণীত আইনের প্রয়োগ দৃশ্যত বেশি দেখা যায় মুসলিম বিশ্বে৷ সুনির্দিষ্টভাবে বললে পাকিস্তান বা সৌদি আরবের মতো দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মকে কোনোভাবে কটাক্ষ করা হলে ব্লাসফেমি আইনে বিচার হয়৷ আর সে সবের খবর বড় শিরোনামে ছাপা হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে৷ ইউরোপে ব্লাসফেমি আইনের প্রয়োগ দুর্লভ৷ তবে অনেক দেশের আইনি কাঠামোয় ব্লাসফেমির বিষয়টি রয়েছে৷
মহানবী মোহাম্মদকে ব্যঙ্গ করে প্রকাশিত বিভিন্ন কার্টুন এবং ছবির প্রতিবাদে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংস বিক্ষোভ দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে৷ মুসলিম দেশগুলোর মতো না হলেও ইউরোপে হয়েছে প্রতিবাদ৷ কয়েক বছর আগে ইসলামবিরোধী এক ভিডিও তৈরি করে ব্যাপক ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেন নেদারল্যান্ডসের উগ্র-ডানপন্থি রাজনীতিবিদ খেয়ার্ট ভিল্ডার্স৷ তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়৷ কিন্তু গত বছর সে দেশের এক আদালত তাঁকে এই মামলা থেকে রেহাই প্রদান করে৷ অথচ নেদারল্যান্ডসে ১৯৩২ সাল থেকে ব্লাসফেমি আইন চালু আছে৷ বিচারক এই আইন এড়িয়ে গেছেন৷ সেই থেকে সেদেশে ব্লাসফেমি আইন চালু রাখা বা না রাখা নিয়ে চলছে আলোচনা৷ গত সপ্তাহে ডাচ সংসদে রাজনৈতিক দলগুলো জানিয়েছে, এই আইন বাতিল করার মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের রয়েছে৷
আয়ারল্যান্ড ২০০৯ সালে ব্লাসফেমি আইন চালু করে৷ তবে সে দেশও এখন এই আইন বাতিলের পথেই এগুচ্ছে৷ ব্যতিক্রম অবশ্য গ্রিস৷ একটি ছবিতে যিশু খ্রিষ্ট এবং তাঁর ধর্ম প্রচারকদের সমকামী হিসেবে দেখানোয় সেই ছবির প্রযোজক, পরিচালক এবং কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে গ্রিসের আদালতে৷
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিউ' একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের ৪৫টি দেশের মধ্যে আটটিতে ব্লাসফেমি আইন রয়েছে৷ এছাড়া ৩৫টি দেশে ধর্ম অবমাননা রোধে আইন রয়েছে৷
পিউ'র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলিম বিশ্বে ব্লাসফেমি আইনের প্রয়োগ বেশি৷ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার ২০টি দেশের মধ্যে ১৩টিতে এই আইন রয়েছে৷ এশিয়ার নয়টি দেশেও রয়েছে ঈশ্বর নিন্দা রোধে ব্লাসফেমি আইন৷
এআই/ডিজি (রয়টার্স)