1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
দুর্যোগবাংলাদেশ

‘ভবন তৈরিতে নিয়ম মানলে বড় ভূমিকম্পেও ক্ষতি কমানো সম্ভব’

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে৷ বাংলাদেশেও কী এই ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে? তেমনটি হলে ক্ষয়ক্ষতি কেমন হবে? আমাদের প্রস্তুতিই বা কতটুকু?

https://p.dw.com/p/4Ndhn
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী৷
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী৷ছবি: Privat

এসব বিষয় নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী৷

ডয়চে ভেলে : বাংলাদেশ কতটা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে?

অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী : ঐতিহাসিকভাবে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৭৬২ সালে ৮ পয়েন্ট ৫৯ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়৷ যেটার কারণে সেন্টমার্টিনের উৎপত্তি বলেই অনেক মনে করেন৷ যেহেতু একবার হয়েছে আবারও এখানে হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷ কারণ আড়াইশ' বছর হয়ে গেছে৷ বলা হয়, এই ভূমিকম্পগুলো আড়াইশ' থেকে তিনশ' বছর পরপর হয়৷ দ্বিতীয় ধাপে যেটা হয়েছে, ১৮৬৯ সাল থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত পাঁচটা বড় বড় ভূমিকম্প হয়েছে এখানে৷ ১৮৮৫ সালে ৭ দশমিক ১ মাত্রায় হয়েছে৷ যেটা যমুনা সেতু থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে৷ তাছাড়া ১৮৬৯ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রায়, ১৮৯৭ সালে ৮ দশমিক ৭৯ মাত্রায় হয়েছে৷ তখন ঢাকার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৯০ হাজার৷ এখন প্রায় ২ কোটি৷ তখনই ঢাকায় প্রায় ১০০টা পাকা দালান ভেঙে ১৫ জন মারা যায়৷ ১৯১৮ সালে শ্রীমঙ্গলের চা বাগানে এবং সর্বশেষ যেটা হয়েছে, ১৯৩০ সালে ৭ দশমিক ১৯ মাত্রায় রংপুর এলাকায়৷ গবেষকরা বলেন, ৭ মাত্রার নিচে ভূমিকম্প একশ' থেকে দেড়শ' বছর পরপর আসতে পারে৷ আর যেগুলো ৮ এর অধিক সেগুলো আড়াইশ' থেকে তিনশ' বছর পরপর আসতে পারে৷ সে হিসেবে ৭ মাত্রায় যে কোন সময় হতে পারে৷

‘৯০ শতাংশ মানুষকে বাঁচানো সম্ভব যদি ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনশীল হয়’

এভাবে ভূমিকম্প হলে ক্ষতির মাত্রা কেমন হবে?

ক্ষয়ক্ষতি তখনই বলা যাবে, যখন সবগুলো ভবনের ব্যাপারে আমাদের সম্মুখজ্ঞান থাকবে৷ আমাদের দেশে ভবন নির্মান এলোপাথারি হয়েছে৷ কোন ধরনের বিল্ডিং কোড তদারকি ছাড়াই হয়েছে৷ যদিও সুউচ্চ ভবনগুলো এসব মেনেই হয়েছে বলে আমার মনে হয়৷ কারণ সেখানে যারা মালিক ও ডেভেলপার তারা অনেক ইনভেস্ট করেন বলেই এগুলো মেনে ভবন তৈরি করেন৷ ঢাকা শহরে ছয় লাখ ভবন আছে ৪ তলা বা তার বেশি৷ আর ১০ তলা বা তার বেশি আছে দুই হাজার ১০০ ভবন৷ ছয় লাখের তুলনায় দুই হাজার ১০০ কিছুই না৷  কত শতাংশ ভবন ভেঙে পড়তে পারে, সেই ধারণা দেওয়ার জন্য যদি বলি, রানা প্লাজা ধ্বসের পর আমরা প্রায় তিন হাজার ৫০০ ফ্যাক্টরি বিল্ডিং চেক করেছি৷ সেখানে আমরা তিনটি ভাগ করেছি, এর মধ্যে রেড ক্যাটাগরিতে ছিল যেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, ইয়োলো ক্যাটাগরিতে ছিল কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং গ্রীণ ক্যাটাগরিতে ছিল সেগুলো নিরাপদ৷ এর মধ্যে ২৫ ভাগ পেয়েছি রেড ক্যাটাগরিতে৷ এটাকেই যদি আমরা ধরি, তাহলে বলতে পারি, ঢাকা শহরের ২৫ ভাগ ভবন ভূমিকম্প সহনশীলভাবে তৈরি হয়নি৷ সঠিক তথ্য বলতে গেলে সব ভবনই পরীক্ষা করতে হবে৷

ক্ষতির মাত্রা কিসের ওপর নির্ভর করে?

ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করে তিনটা ফ্যাক্টরের উপর৷ প্রথমত, যে মাটিতে আপনি ভবনটি নির্মাণ করেছেন সেটা ভূমিকম্প সহনীয় কিনা, অর্থাৎ মাটিটা যদি বালু মাটি হয় তাহলে সেটার উপর আপনি যত শক্ত করেই ভবন নির্মান করেন না কেন সেটা বসে যাবে৷ দ্বিতীয়ত, ভবনকে ভূমিকম্প সহনীয় করে করতে হবে৷ আর তৃতীয়ত হল, বিল্ডিং কোড অনুমোদনের আগেই আগেই অনেক ভবন তৈরি করা হয়৷ এগুলোতে বিল্ডিং কোড মানা হয় না৷ এই কারণগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়৷ তুরস্কেও আমরা এমনটাই দেখলাম৷ এই তিন কারণে ক্ষয়ক্ষতি সেখানে বেশি হয়েছে৷

কেবল ভবন নির্মাণে ত্রুটিই কী ক্ষয়ক্ষতির বড় কারণ হয়ে ওঠে?

এটা একটা অন্যতম কারণ৷ ভবন নির্মাণের সময় গুনগত মান ঠিক না থাকলে তো হতেই পারে৷ যদি আমি বলি, কংক্রিটের মান তিন হাজার পিএসআই থাকা উচিত হলেও থাকণ এক হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার পিএসআই৷ আমি যদি বলি, রডের গুনগত মান থাকা উচিৎ ৭০ থেকে ৮০ পিএসআই৷ অথচ সেটা আমরা পেলাম ৪০ পিএসআই৷ যে মান থাকা উচিৎ সেটার থেকে যদি মান কম হয় তখন ভবনের দুর্বলতা বেড়ে যায়৷ ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে কলামে ঘন ঘন রড দিতে হয়৷ এগুলো না মানলে ওই ভবনগুলো ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা বেশি৷

বাংলাদেশে ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি কেমন?

সাইক্লোনের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ একটা অন্যতম দেশ৷ সাইক্লোনের তিন দিন আগে একটা বার্তা দেয়৷ ভূমিকম্প কোন বার্তা দেয় না৷ ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি ততটা না৷ ভূমিকম্পে যেটা বলা হয়, প্রস্তুতির চেয়ে ভবনকে শক্তিশালী করাটাই বেশি প্রয়োজন৷ ৯০ শতাংশ মানুষকে বাঁচানো সম্ভব যদি ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনশীল হয়৷ বাকি ১০ শতাংশের জন্য প্রয়োজন উদ্ধার তৎপরতা৷ আর তার জন্য প্রয়োজন যন্ত্রপাতি৷ গত ১০-১৫ বছরে কিন্তু আমাদের সরকার ৪০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনেছে৷ এগুলো ফায়ার সার্ভিস ও আর্মিকে দেওয়া হয়েছে৷ এগুলোও যথেষ্ট না৷ আমাদের প্রশিক্ষিত বাহিনীর সঙ্গে কমিউনিটি ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকও তৈরি করা দরকার৷ রানা প্লাজার ঘটনা যখন ঘটে তখন ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে কিন্তু উদ্ধার করেছে স্বেচ্ছাসেবকেরা৷ বাকিটা ফায়ার সার্ভিস করেছে৷ উদ্ধার প্রক্রিয়ার ট্রেনিং আমাদের ফায়ার সার্ভিসের আছে৷ যন্ত্রপাতি যতই কিনি না কেন স্বেচ্ছাসেবক না থাকলে সেটা অপ্রতুল হবে৷ তাদের কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করা গেলে কাজটা অনেক সহজ হবে৷

ভূমিকম্প সহনীয় মাত্রার ভবনে খরচ কি খুব বেশি?

নতুন ভবন ভূমিকম্প সহনশীল করার খরচ তেমন না৷ ঢাকাসহ বাংলাদেশে ভবনের খরচ আনুমানিক আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা প্রতি স্কয়ারফিট৷ এই ভবনগুলো ভূমিকম্প সহনশীল করতে প্রতি স্কয়ারফিটে ১০০ টাকা প্রয়োজন৷ ভূমিকম্প সহনশীল করতে রডকে একটু বাকা করে দিতে হয়৷ কিছু জায়গায় ঘন ঘন দিতে হয়৷ এই খরচ সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা হতে পারে৷ কিন্তু যে ভবন তৈরি হয়ে গেছে সেটাকে ভূমিকম্প সহনশীল করতে খরচ অনেক বেশি৷ সেটা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পড়ে যায়৷ 

ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে কি বাড়ি-ঘর পরিকল্পিত?

আসলে পুরো দেশেরই তো একই রকম চিত্র৷ একটা উদাহরণ যদি বলি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গেলে দেখবেন শহরে যতটা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভবন করা হয়েছে, কিন্তু গ্রামে যে কয়েকশ' ভবন বানানো হয়েছে সেগুলো নিয়ম মেনে করা হয়নি৷ ঢাকা শহরের আশপাশে যে শহরগুলো হচ্ছে সেখানেও কিন্তু যথাযথ নিয়ম মেনে হচ্ছে না৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের বিষয়টা আমাদের দেশে কখনই করা হয়নি৷ পরিকল্পনা অনুযায়ি হলে, রাস্তা ঘাটগুলো ফাঁকা থাকত৷ উদ্ধার কাজগুলো সহজ হতো৷ সম্প্রতি ড্যাপ অনুমোদন হয়েছে৷ কিন্তু আমরা সেটা মানছি না৷ ২০০৫ সালে যখন প্রথম ড্যাপ হয়েছিল তখনও আমরা মানিনি৷ ডোবা নালা বন্ধ করে যে বাড়ি নির্মাণ করছি, সেখানেও কিন্তু আমরা নিজেদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছি৷ 

তুরস্কে ভূমিকম্পের পর ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সেটা তো কোনো কাজে আসছে না৷ আমাদের দেশে কী আগে ভাগে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়?

আমি মনে করি যায়৷ কিন্তু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে ধরার আগে আমাদের একটু যাচাই করা দরকার যে, আমাদের রাজউক, সিটি কর্পোরেশন তারা কী ঠিক কাজটা করছে? আমরা কেন ডেভেলপারদের প্রশ্রয় দিচ্ছি৷ কর্মকর্তাই তো অনুমোদন দিচ্ছেন৷ তারাই তো সাহায্য করছেন৷ ডেভেলপার ভুল করলে তাকে অবশ্যই ধরতে হবে৷ কিন্তু তারা ভুল করার সুযোগ কেন পাচ্ছে৷ অনুমোদনের প্রক্রিয়া ও বাস্তবায়নের অনেক বেশি তদারকি থাকা প্রয়োজন৷ তাদের সক্ষমতা না থাকলে থার্ড পার্টিকে দিয়ে করাতে পারে৷ তারা যখন পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবেন যে, একটি তলা ঠিকমতো বানানো হয়েছে, তখনই রাজউক তাকে অনুমোদন দেবে৷ আমাদের আইনে কিন্তু বলা আছে, যেসব ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত তারা যদি সঠিকভাবে না করেন তাহলে তাদের সশ্রম কারাদণ্ড বা জেল জরিমানার বিধান আছে৷ তুরস্কে যেটা হয়েছে, আমাদের এখানেও সেটা হচ্ছে, সিটি অফিসিয়ালদের দুর্নীতির কারণেই ডেভেলপাররা অন্যায় করার সুযোগ পাচ্ছে৷ 

তুরস্ক আর বাংলাদেশের অবস্থানগত পার্থক্য কী ভূমিকম্পে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে?

পার্থক্য তো আছেই৷ দু'টি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রথমত, তুরস্ক অনেক বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ৷ যেটা বাংলাদেশ না৷ ওখানে প্রতি বছরই একটা হচ্ছে, ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ মাত্রার উপরে একটা বড় ভূমিকম্প হচ্ছে৷ আমাদের এখানে কিন্তু এক থেকে দেড়শ' বছর পরপর ৭ মাত্রায় এবং আড়াই থেকে তিনশ' বছর পর ৮ মাত্রার উপরে ভূমিকম্প হচ্ছে৷ আর দ্বিতীয়ত, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আমাদের খুব বেশি তফাৎ নেই৷ ওদের ভবনগুলো যেভাবে ধ্বসে পড়েছে আমাদের এখানেও সিটি অফিসিয়ালদের অন্যায় বা অনিয়মের কারণে একইভাবে ভবন নির্মাণ হচ্ছে৷ ওখানেও ডেভেলপাররা সিটি অফিসিয়ালদের কারণে অন্যায় করে পার পেয়ে গেছে৷ এখানেও পার পেয়ে যাচ্ছে৷

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হয়৷ কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন?

এই যে ৩১৪টা ভবন রাজউক চিহ্নিত করেছে, তার কারণ হল সেখানে রাজউকের নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে৷ পিছনে, পাশে বা সামনে জায়গা না ছাড়ার কারণে৷ কিন্তু আসলেই বিল্ডিংটা খারাপভাবে নির্মাণ করা হয়েছে কিনা সেটা চিহ্নিত করার ব্যাপারে রাজউক অক্ষম৷ রানা প্লাজার পর আমরা যেটা করেছি ফ্যাক্টরি বিল্ডিং নিয়ে, তেমনি সবগুলো ভবনের ক্ষেত্রেই একই পথে যেতে হবে৷ রাজউক যে গ্রাউন্ডে ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে, সেই গ্রাউন্ডটাই ঠিক না৷ এটা এখনই শুরু করা দরকার৷ এর জন্য সরকারের কোন দায়ভার নেই৷ রাজউক যদি নির্দেশ দেয়, আপনি নিজে নিজের ভবনটিকে চেক করে সেই রিপোর্ট রাজউকে জমা দেন৷ এগুলো পরীক্ষার জন্য আমাদের এখানে দক্ষ জনবল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কিন্তু তৈরী হয়েছে৷ রানা প্লাজার পর অন্তত ৫০টি প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে এবং সাথে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যাদের এগুলো পরীক্ষা যন্ত্রপাতি আছে এবং তারা পরীক্ষা করতে সক্ষম৷ এভাবে করলে আমরা চিহ্নিত করতে পারব কোন বিল্ডিংটা খারাপ৷

ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি সমীর কুমার দে৷
সমীর কুমার দে ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি৷