1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভবনের দেওয়ালই যখন শিল্পীর ক্যানভাস

৩ অক্টোবর ২০১৯

চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, শিল্প নানা কারণে অনেকেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে বড় আকারের শিল্পকর্ম উপেক্ষা করা সহজ নয়৷ বার্লিনের দুই শিল্পী এমনভাবেই সাধারণ মানুষকে শিল্প সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করছেন৷

https://p.dw.com/p/3QgCp
ছবি: DW

যে চিত্রকর্মের দর্শক সাধারণ মানুষ

ইয়াকব বার্ডু ও হলগার ভাইসফ্লোগ ‘ইনারফিল্ডস' নামের শিল্পীসংঘের সদস্য৷ প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁরা বাড়ির দেওয়ালকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে বিশালাকার, রঙিন সব ছবি সৃষ্টি করেন৷ তাঁদের সরঞ্জামের আকারও ছোট নয়৷ ভাইসফ্লোগ বলেন, ‘‘এগুলি আমাদের প্রিয় ‘সারপ্রাইজ ব্রাশ'৷ ক্যানভাসের উপর একই কাজ করলে ছোট্ট মিনি ব্রাশের প্রয়োজন হতো৷'' 

মানুষের জীবনে ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাবই তাঁদের শিল্পের বিষয়বস্তু৷ হলগার ভাইসফ্লোগ ভবনের বিশাল দেওয়ালকে মিউরালে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করেন৷ ফ্রাইবুর্গ শহরে এমন এক দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ হলগার ভাইসফ্লোগ মনে করেন, ‘‘এমন ছবি আঁকার সুযোগ সমাজের সামনে আমাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরার বিশাল দায়িত্বও এনে দেয়৷ অনেক মানুষের সমাগম হয়, এমন জায়গায় কিছু সৃষ্টি করার সুযোগ পেলে সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে টেকসই কিছু করার দায়িত্ব এসে যায়৷ তা না হলে সেটি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়৷''

কয়েক সপ্তাহ আগে ফিরে তাকানো যাক৷ দুই শিল্পীই বার্লিনে বসবাস করেন ও সেখানেই কাজ করেন৷ গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে তাঁদের আলাপ হয়েছিল৷ তখন দুজনেই গ্রাফিটি স্প্রেয়ার ছিলেন৷ সবসময়ে আইন মেনে তাঁরা সৃষ্টির কাজ করেন নি৷ হলগার ভাইসফ্লোগ বলেন, ‘‘আসলে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে আমাদের আবেগের পরিবর্তন হয় নি৷ শুধু একটি ছোট রূপান্তর ঘটেছে৷ সে সময়কার শখ ও আবেগ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ এখন আমাদের এমন সৃষ্টির অনুমতি রয়েছে৷ কেউ আর আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করে না৷''

দেওয়ালের উপর সঠিক মাপ নিশ্চিত করতে খসড়ার উপর একটি গ্রিড বা খাঁচা বসানো হয়৷ ফ্রাইবুর্গের মিউরাল সৃষ্টি করতে ৪ দিনে ৬ লিটার রং ও ১০ ক্যান স্প্রে পেন্টের প্রয়োজন হয়েছে৷ সৃষ্টিকর্মটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে এর নানা ব্যাখ্যা হতে পারে৷ ইয়াকব বার্ডু বলেন, ‘‘আমরা মানুষের কাছে পৌঁছানোর আশা রাখি৷ কিন্তু আমরা শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে চাই না৷ আমরা মানুষের চলার পথে এমন পাথর রাখতে চাই, যাতে ধাক্কা খেয়ে তাদের মন খুলে যায়৷''

আর্টিফিশিয়ার ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে মিউরালের মাধ্যমে ইনারফিল্ডস গোষ্ঠী সেই লক্ষ্যই পূরণ করতে চায়৷ বিশাল আয়তনের কারণেই মানুষের পক্ষে সেটি উপেক্ষা করা অসম্ভব৷

প্রতিবেদন: পিয়ের প্রেচ/এসবি