ভাইরাল ভিডিওর পর মিশরে নারী অধিকার বিতর্ক
১৫ জানুয়ারি ২০২২শুধুমাত্র নাচের কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত পর্যন্ত করা হয়েছে তাকে৷ ঘটনার পর ফের প্রশ্নের মুখে নারীদের অধিকার৷ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে হেডস্কার্ফ পরে রয়েছেন তিনি৷ পরনে লম্বা হাতা জামা এবং পায়জামা৷ নীল নদে একটি ক্রুজ পার্টিতে সহকর্মীদের সঙ্গে নাচ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ বলেছেন, রক্ষণশীল পরিবারের কথা ভাবা উচিত ছিল আইয়ার৷ অনেকে প্রশংসাও করেছেন৷ সাম্প্রতিক সময়ে মিশরে একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের হেনস্থা করা হয়েছে৷
২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাতা আল-সিসি মসনদে আসার পর এ জাতীয় ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ একটি সাক্ষাত্কারে আইয়া জানিয়েছেন, স্বতস্ফূর্তভাবে নাচ করছিলেন তিনি ও তার সহকর্মীরা৷ আল-ওয়াতন সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, কে এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল তিনি জানেন না৷ বিনা অনুমতিতে এই ভিডিও পোস্ট কে বা কারা করেছেন জানলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন আইয়া৷
টুইটারের এক ব্যবহারকারী এই ভিডিও দেখে মন্তব্য করেন, একজন বিবাহিতার পক্ষে এভাবে নাচ করা ঠিক নয়! একজন লেখেন, লজ্জাজনক৷ এরপরই প্রশ্ন উঠছে, স্বাধীনভাবে একজন মানুষ হিসেবে কোনও মহিলা কি বাঁচতে পারেন না?
যদিও এই ঘটনা নিয়ে হইচই হওয়ার পর কাজে পুনর্বহাল করা হয়েছে আইয়াকে৷ মিশরের নারী আন্দোলন কর্মী নিহাদ আবু আল কাসমান কটাক্ষ করে বলেন, আদালতের কাছে নাচের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে৷ তাহলে বাড়ির কোনও অনুষ্ঠানেও মহিলারা তা মেনে চলবেন৷
১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সি ৯০ ভাগ মিশরীয় মহিলা ২০১৯ সালে হেনস্থার মুখোমুখি হয়েছেন, এমনটাই জানাচ্ছে আরব ব্যারোমিটার রিসার্চ নেটওয়ার্ক৷ ২০২১ সালের জুলাই মাসে কায়রোর আদালতে ‘জনগণের মনপসন্দ নীতি ভঙ্গ করার অপরাধে’ ছয় থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে দু'জন নারীর৷
গত কয়েক দশকে মিশরে একের পর এক নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে৷ আরও বেশি রক্ষণশীল হয়ে উঠেছে মিশর৷
আরকেসি/জেডএইচ (এএফপি)