1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্নিপরীক্ষা

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩০ জুলাই ২০১৩

ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্নিপরীক্ষা স্থলসীমা এবং তিস্তা চুক্তির সফল বাস্তবায়ন৷ এর গুরুত্ব বোঝাতে সম্প্রতি দিল্লি এসেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এবার মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনার৷

https://p.dw.com/p/19GyS
TO GO WITH Bangladesh-India-border-history-enclaves,FEATURE by Shafiq AlamIn this photograph taken on December 10, 2010, an Indian security official opens the gate of Indian ruled Rangpur some 350 kms north from Dhaka. Little bits of India are in Bangladesh, and little bits of Bangladesh are in India. The existence of 'enclaves' on either side of the border is a bizarre anomaly that might finally be solved by a swap. The islands of land result from ownership arrangements made centuries ago between local princes, surviving partition of the sub-continent in 1947 after British rule, and Bangladesh's 1971 war of independence with Pakistan. AFP PHOTO (Photo credit should read STRDEL/AFP/Getty Images)
ছবি: AFP/Getty Images

ঢাকা ভালো করেই জানে, স্থলসীমা চুক্তির জন্য সংসদের অনুমোদন পেতে পাশ করাতে হবে সংবিধান সংশোধন বিল দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে৷ যেহেতু এটা ভারতীয় ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রশ্ন৷ আর তার আসল চাবিকাঠি আছে বিজেপি নেতৃত্বের হাতে৷ তাই বিজেপি যাতে ঐ বিল সমর্থন করে. তার জন্য দিল্লিতে এসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে আলোচনা করেন৷ বরফ না গললেও এইটুকু আশ্বাস পাওয়া গেছে যে বিজেপিও চায় বাংলাদেশের বন্ধুত্ব৷ তবে এ বিষয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে৷

Bangladesh's Foreign Minister Dipu Moni addresses the Nuclear Nonproliferation Treaty (NPT) conference at United Nations headquarters, Tuesday, May 4, 2010. (ddp images/AP Photo/Richard Drew)
সম্প্রতি দিল্লি সফর করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, গণতন্ত্রে একটা বিরুদ্ধমত থাকতেই পারে৷ কিন্তু জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে প্রত্যেক দেশকেই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে উঠতে হয়৷ বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়৷ স্থলসীমা এবং তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে বিজেপির মনোভাব সদর্থক৷ তবে চ্যালেঞ্জ হলো বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে তা সংসদে পাশ করানো৷ নাহলে বাংলাদেশের নির্বাচনে তার হতাশাজনক প্রভাব পড়তে পারে, বলেন দীপু মনি৷

হাসিনা সরকারের জমানায় দুদেশের মৈত্রী সম্পর্কের যে সুফল পাওয়া গেছে, সেটা যাতে স্থায়ী হয়, তার জন্য তিনি ভারতের জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানান৷ উল্লেখ্য, স্থলসীমা চুক্তির জন্য সংবিধান সংশোধনী বিলকে সিপিএম সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত৷ দলের মতে, এই চুক্তিতে দুদেশের স্বার্থই জড়িত৷ তিস্তা নদীর জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনার পর তার মীমাংসা হয়ে গেছে৷ আপত্তি স্রেফ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ এই চুক্তি মেনে নিলে তাঁর আপত্তি নেই৷

India's Gujarat state chief minister Narendra Modi, greets his supporters upon arriving at the party's state headquarters after casting his vote in the second phase of the state assembly elections in Ahmadabad, India, Monday, Dec. 17, 2012. Ninety-five seats go for polls on Monday in the second and last phase of the elections in which 19.8 million voters will decide the fate of 820 candidates including Modi, who is seeking his third term, according to local news agency Press Trust of India. (Foto:Ajit Solanki/AP/dapd)
দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনার তারিক করিম গত সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

এদিকে ভারতেও সাধারণ নির্বাচনের আর দেরি নেই৷ তার প্রেক্ষিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখ৷ দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনার তারিক করিম গত সপ্তাহে গান্ধীনগরে এক আলোচনাসভায় যোগ দিতে গিয়ে মোদীর সঙ্গে দেখা করে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত করার বিষয়ে কথা বলেন৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই সাক্ষাৎকারকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন – বিশেষ করে স্থলসীমা চুক্তিতে বিজেপির সমর্থন লাভে৷

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসিনা সরকার যখন বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পরিচয় তুলে ধরতে চেষ্টা করছেন, তখন ভারতের প্রধান বিরোধী দলের উচিত হবেনা সংকীর্ণ রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জালে নিজেদের আটকে রাখা৷ এতে ভারতের ক্ষতি হবে৷ প্রতিবেশী দেশে মৌলবাদী সরকার কখনই কাম্য নয় ভারতের৷ বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে সহজ পরিবহনের সুবিধা ফলপ্রসূ হবেনা৷ মোটকথা, স্থলসীমা ও তিস্তা চুক্তি কার্যকর না করতে পারলে মনমোহন সিং সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ক মজবুত করতে যে কূটনৈতিক বিনিয়োগ করেছে, তা মাঠে মারা যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য