ভারত সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য ভুল ছিল!
১০ এপ্রিল ২০২০৯ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) তার সর্বশেষ ‘সিচুয়েশন রিপোর্ট'-এ জানায়, ভারতে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ধাপ, অর্থাৎ ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে' পৌঁছে গেছে৷ এই ধাপে কোনো দেশ পৌঁছে যাওয়া মানে মোট সংক্রমণের অন্তত ৩০ শতাংশের বিদেশ সফরের বা বিদেশ সফর করেছেন এমন কারো সংস্পর্শের ইতিহাস না থাকা৷ শুধু তাই নয়, তৃতীয় ধাপের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ৩০ শতাংশের সংক্রমণের সূত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে৷ ফলে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস৷
কিন্তু ১০ এপ্রিল, ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এনডিটিভি' একটি প্রতিবেদনে জানায়, এই তথ্য ভুল ছিল, তা তাদের কাছ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকার করেছে৷ শুধু তাই নয়, এনডিটিভি এ-ও জানায় যে, ভুল তথ্য শুধরেও নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
বর্তমানে ৯ এপ্রিলের যে সিচুয়েশন রিপোর্ট রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে, তা জানাচ্ছে যে, ভারতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি৷ বর্তমানে, সেখানে করোনা সংক্রমণ শুধুমাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ রয়েছে, যাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘ক্লাস্টার অফ কেসেস'৷ এই করোনা ভাইরাস তার ‘জন্মভূমি' চীনেও ‘ক্লাস্টার অফ কেসেস' হিসাবে ছড়াচ্ছে, জানাচ্ছে ডাব্লিউএইচও'র এই প্রতিবেদন৷
সত্যিই কি ভারতে নেই ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন'?
ভারত আয়তনে বড় দেশ হবার কারণে অবস্থানভেদে পরিস্থিতি পালটে যাওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না৷ একদিকে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে, দেশে নেই তৃতীয় ধাপের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, অন্যদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলছেন অন্য কথা৷ ভারতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে শুক্রবার তিনি বলেন, পাঞ্জাবে ১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে লকডাউন৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘পাঞ্জাবে বর্তমানে ২৭টা এমন সংক্রমণের উদাহরণ রয়েছে যার সূত্র আমরা এখন খুঁজে পাইনি৷ এগুলিকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হিসেবে ধরা যেতে পারে৷'' পাঞ্জাবে এই মূহুর্তে মোট ১৩২জন করোনা-আক্রান্ত রয়েছে৷
এসএস/এসিবি (এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ডাব্লিউএইচও)