জার্মান ভিসা সহজ হলো
১৯ জানুয়ারি ২০১৪জার্মানিতে যেতে ভারত ও ভুটানের নাগরিকদের শেঙেন ভিসা পেতে আগে যে পরিমাণ দৌড়ঝাঁপ করতে হত এখন আর অত করতে হবে না৷ ভারতের দূর দূর অঞ্চল থেকে নতুন দিল্লির জার্মান দূতাবাসে বা কনস্যুলেটে ভিড় না করে ভিসা আবেদনপত্র জমা দিতে আবেদনকারীকে তাঁর কাছের বড় শহরে গেলেই চলবে৷ এজন্য জার্মান সরকার শেঙেন ভিসার আউটসোর্সিং-এর ব্যবস্থা করেছে৷ ভার দিয়েছে ‘ভিএফএস গ্লোবাল' নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে চুক্তির ভিত্তিতে৷ এই সংস্থা ভারতের বিভিন্ন শহরে ১৬টি এবং ভুটানের থিম্পুতে একটি ভিসা আবেদন কেন্দ্র খুলেছে৷ এর মধ্যে ১১টি সেন্টারে কাজ শুরু হয়ে গেছে, বাকিগুলিতে শুরু হবে মাস দুয়েকের মধ্যে৷
এতে শেঙেন ভিসা আবেদনকারীদের বাড়তি যেসব সুবিধা হবে তার ফিরিস্তি দিয়ে নতুন দিল্লির জার্মান রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে হোক বা ছুটি কাটাতেই হোক জার্মানির মতো দেশে ভারত ও ভুটানি নাগরিকদের যাতায়াতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে৷ ২০১২ সালে পাঁচ লাখের বেশি ভারতীয় গেছেন জার্মানিতে৷ জার্মান ভিসা আবেদনপত্রের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে তা প্রসেস করার কাজ সামলাতে দূতাবাস কর্মীদের পক্ষে সমস্যা হচ্ছিল৷ শুধু তাই নয়, ভিসা আবেদনকারীদের কষ্ট লাঘব করে কীভাবে তাঁদের বাড়তি সুবিধা দেয়া যায়, আউটসোর্সিং-এর মূল উদ্দেশ্য সেটাই৷ এতে সুবিধা হবে নানাভাবে৷ যেমন, সময় বাঁচবে, দূর দূর শহর থেকে দিল্লিতে আসার খরচ কম হবে, যাতায়াতের পরিশ্রম লাঘব হবে এবং সবথেকে বড় কথা পয়সা বাঁচবে এটাই এখন আমাদের নীতি, বলেন দিল্লির জার্মান রাষ্ট্রদূত স্টাইনার৷ তবে তিনি এটাও জানান যে, যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে অর্থাৎ দু-তিন বছরের জন্য পড়তে বা চাকরি করতে যেতে চান তাঁদের ভিসা দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকেই দেয়া হবে৷
ভিসা আউটসোর্সিং পার্টনার ভিএফএস গ্লোবাল সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান বিশাল জয়রাথ এই সংস্থার কাজকর্ম সম্পর্কে বলেন, বিভিন্ন দেশে ১,১৭০টি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার আছে যেখানে বছরে ৭ কোটি ভিসা আবেদনপত্র প্রসেস করা হয়৷ আবেদনকারীরা তাঁদের ভিসা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন অনলাইনে বা এসএমএস করে৷ ভিসা প্রসেসের জন্য সময় লাগবে তিন থেকে চারদিন৷ চাইলে পাসপোর্ট কুরিয়ারে আবেদনকারীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেবার সুবিধা থাকবে৷ আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত ডাটায় অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে৷ কলকাতায় ভিএফএস ভিসা সেন্টার খোলা হবে ২০১৪ সালের মার্চে৷