1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গৃহকর্মীদের জন্য ৯ হাজার রূপি বেতনের প্রস্তাব

৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি করছে৷ শিগগিরই সেটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো৷ আর এ নিয়েই সরব বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও৷

https://p.dw.com/p/1GSeu
Haushalthilfe in Indien
ছবি: DW

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-র প্রতিবেদন বলছে, ভবিষ্যতে যারা সারাক্ষণের জন্য বাসায় গৃহকর্মী রাখতে চান তাদের হয়ত বেতন হিসেবে কর্মীদের মাসে সর্বনিম্ন ৯,০০০ রূপি দিতে হতে পারে৷ এছাড়া গৃহকর্মীদের বছরে ১৫ দিন বেতন সহ ছুটি দিতে হবে৷ দিতে হবে মাতৃত্বকালীন ছুটিও৷

এদিকে, বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে গৃহকর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও জীবনমানের উন্নয়নের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল৷ কিন্তু সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি বলে একটি ধারণাপত্রে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এএসএম আলী আশরাফ৷ গৃহকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকের জন্য এই ধারণাপত্রটি তৈরি করেন আশরাফ৷ তাঁর ধারণা, বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ মানুষ গৃহকর্মে নিয়োজিত যার অধিকাংশ নারী ও শিশু৷ বৈঠকে উপস্থিত আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে গৃহকাজে নিয়োজিতদের বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে৷ ফলে গৃহশ্রমিকদের মজুরির নিশ্চয়তাসহ সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শ্রমিক হিসেবে মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই৷ তাই বক্তারা গৃহকর্মীদের গৃহশ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান৷ একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর পরিবেশিত হয়৷

এদিকে, ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই ৫৬৭ জন গৃহকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়৷ ‘ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স রাইটস নেটওয়ার্ক'-এর এক জরিপে এই তথ্য পাওয়া যায়৷ ইউনিসেফ এবং আইএলও-র এক জরিপ বলছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সি প্রায় চার লক্ষ ২০ হাজার শিশু বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেছে৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য