1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৪ অক্টোবর ২০১৩

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে বিতর্কিত কুড়ানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু হলো মঙ্গলবার মধ্যরাতে৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের রাশিয়া সফরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারত-রুশ যৌথ উদ্যোগের এই প্রকল্পটি চালু করা হলো৷

https://p.dw.com/p/1A57f
ছবি: Reuters

এরপর উৎপাদন ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ১৬০ মেগাওয়াট পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে দক্ষিণ গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পর ‘শাট-ডাউন' করা হয়, যেন প্রকৌশলীরা টারবাইন এবং জেনারেটরের সুসংহত সিস্টেম চেক-আপ করে দেখতে পারেন৷

প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াট৷ পূর্ণ ক্ষমতায় পৌঁছবে ধাপে ধাপে৷ সব উপকরণ ও সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করা সাপেক্ষে প্রথম ধাপে ৫০০ মেগাওয়াট, পরের ধাপে ৭৫০ মেগাওয়াট এবং তারপর ১,০০০ মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া হবে৷

বাণিজ্যিকভাবে পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতায় পৌঁছতে সময় লাগবে আরও মাস খানেক৷ কুড়ানকুলাম থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেক পাবে তামিলনাড়ু৷ এই রাজ্যের বিদ্যুৎ ঘাটতি চরমে৷ ঘর বাড়িতে, শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ ছাঁটাই হওয়ায় মানুষের অশেষ দুর্ভোগ৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে রাজীব গান্ধী ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভের মধ্যে স্বাক্ষরিত অসামরিক পরমাণু চুক্তির অধীনে ভারতকে দেয়া হয় দুটি পরমাণু চুল্লি৷ দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রথমটি চালু হয়৷ দ্বিতীয় চুল্লির নির্মাণকাজ চলছে৷ সম্ভবত আগামী বছর তা চালু হবে৷ খরচের বহর এপর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা৷

Ukraine Nuklearsicherheit
প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার মেগাওয়াটছবি: DW/Olga Vesnianka

এই বিলম্বের অন্যতম কারণ যন্ত্রাংশ না পাওয়া এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে স্থানীয় লোকজনদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ৷ জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনার পর তা আরো তীব্র আকার ধারণ করে৷ কেন্দ্রের কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয়৷ সরকার এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার পর ২০১২ সাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়৷ ২০১০ সালে রাশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিনের দিল্লি সফরে যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল তার রূপায়নে ভারত দায়বদ্ধ, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ বাধাগুলি দুর করার চেষ্টা করা হবে যাতে কুড়ামকুলামে তিন এবং চার নম্বর চুল্লির কাজ শুরু করা যায়৷ কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বর্তমান মস্কো সফরে আরো দুটি পরমাণু চুল্লি সরবরাহ চুক্তি সই হবে৷ কূটনৈতিক মহলের মতে, পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে তা হয়নি৷

জটিলতা বলতে রাশিয়া চেয়েছিল ১ এবং ২ নম্বর চুল্লি যেমন দায়বদ্ধতা আইনের বাইরে ছিল, তেমনি তারই জের টেনে তিন ও চার নম্বর চুল্লিও দায়বদ্ধতা আইনের আওতার বাইরে থাক৷ ড. সিং যদি তাতে রাজি হতেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সকেও তার বাইরে রাখতে হতো৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েও তা ঝুলে আছে দায়বদ্ধতা আইনের কারণে৷ দায়বদ্ধতা বলতে বোঝায় পরমাণু কেন্দ্রে দুর্ঘটনা হলে যে কোম্পানি সেই সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল, তাকে প্রচুর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ সেক্ষেত্রে চুল্লি সরবরাহকারী দেশগুলি তাদের বিক্রয় মূল্য অনেক বেশি চাইতে পারে৷

চুল্লি সরবরাহকারী রাশিয়ান কোম্পানি ‘রোশাটম' অবশ্য বলেছে এই ধরণের চুল্লি বিশ্বে সবথেকে নিরাপদ৷ এতে অনেক বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা আছে যাতে সুনামিজনিত ফুকুশিমা চুল্লির মতো দুর্ঘটনা সামলাতে পারে৷ কাজেই ভয়ের কিছু নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য