‘জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র নিয়ে বিতর্ক’
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩গত সপ্তাহে হায়দ্রাবাদের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দেশজুড়ে জঙ্গি তৎপরতা দমনে ফের জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র সংক্ষেপে এনসিটিসি গঠন নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজ্যের অধিকার নিয়ে৷ আইন শৃঙ্খলা যেহেতু রাজ্যের এক্তিয়ার তাই পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট ও পাঞ্জাবের মতো কোনো কোনো রাজ্য এতে সম্মত নয়৷ তাদের মতে, এতে রাজ্যগুলির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হবে৷ লংঘিত হবে ভারতীয় সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো৷
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার পর বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের একটা ব্যাপার আছে৷ রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে একটা পথ বের করার চেষ্টা করছি৷ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক৷ এমনকি বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনেও উনি সমর্থনের কথা বলেছেন৷ উল্লেখ্য, আগে মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান ছিল এর বিপরীত৷
তৃণমূল নেতার ভিন্ন মন্তব্য, তাঁরা সন্ত্রাস দমনে কড়া ব্যবস্থা নেবার পক্ষপাতি৷ কিন্তু এনসিটিসি গঠন করে তার সমাধান হবেনা, বরং রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে৷ তবে সবথেকে সোচ্চার বিজেপি৷ বিজেপির মুখপাত্র বলেন, এনসিটিসি একটা বিকৃত বিল৷ এতে গোয়েন্দা বিভাগকে এমন ক্ষমতা দেয়া হবে, যাতে যে কোনো ব্যক্তিকে যখন তখন গ্রেপ্তার করা যাবে৷ এটা গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারেনা৷ সরকার এই আইনকে কাজে লাগাবে রাজনৈতিকভাবে৷
সিপিএম সাংসদ বৃন্দা কারাত বলেন, সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বজায় রেখে কেন্দ্রের উচিত, রাজ্যগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলা৷ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ে কাজ করা৷
গত বছর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এনসিটিসি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন৷ সর্বভারতীয় স্তরে সন্ত্রাসী হামলা দমনে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে এর গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিলেন৷ কিন্তু এই আইনের আড়ালে রাজ্যগুলির অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কিছু কিছু রাজ্য তাতে সাড়া দেয়নি৷