ভারতে নামাজ নিয়ে আগের রায় বহাল
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে আবেদনটি খারিজ হয়৷
১৯৯৪ সালের রায়ে বলা হয়, নামাজের জন্য মসজিদ অপরিহার্য নয়৷ যে কোনো জায়গাতেই নামাজ পড়া যায়৷ সরকারি কাজে প্রয়োজনে উপাসনাস্থলের জমি অধিগ্রহণে কোনো বাধা নেই৷
এলাহাবাদ হাই কোর্ট ২০১০ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রামের জন্মভূমি নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি যেভাবে ভাগ করে দিয়েছিল, সেখানে আদালতের ওই রায়ের প্রভাব ছিল বলে অভিযোগ মুসলমানদের৷
সেই জায়গা থেকে নামাজ ও মসজিদ নিয়ে রায়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল৷
সর্বোচ্চ আদালত আদেশে বলেছে, ওই রায় অযোধ্যার মূল মামলার (রামের জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি দ্বন্দ্ব) বিচারে কোনো প্রভাব ফেলবে না৷
তাতে আগামী ২৯ অক্টোবর নির্ধারিত দিনেই অযোধ্যার মূল মামলার শুনানি শুরু হতে আর কোনো বাধা থাকছে না৷
আদালতের এই আদেশে ক্ষমতাসীন বিজেপির লাভ হবে বলে মনে করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি৷ অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জায়গায় রাম মন্দির বানানোর ঘোষণা রয়েছে তাদের৷
১৯৯২ সালে করসেবক নামে পরিচিত উগ্রপন্থি হিন্দুরা ষোড়শ শতকের বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয়৷ মসজিদের জায়গায় রামের জন্মভূমি ছিল বলে দাবি করে সেখানে মন্দির করতে চায় তারা৷
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট ওই জমি তিন পদ্ধতিতে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ভাগ করে দেয়৷ তবে মূল অংশ পায় হিন্দুরা৷ হাই কোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় উভয় পক্ষ৷
এইচ/এসিবি