ভারতে নারী নিগ্রহের বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক
৪ জানুয়ারি ২০১৩১৬ই ডিসেম্বর দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার নতুন দিল্লিতে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকা রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানদের বৈঠক৷ পর্যালোচনা করা হয় দেশে নারী নিগ্রহের ভূমিগত বাস্তবতা৷ মহিলাদের প্রতি অপরাধ দমনের কাজে পুলিশের পারদর্শিতা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলেই আইনের প্রতি আস্থা বাড়বে মানুষের৷
আধুনিক প্রযুক্তি তদন্ত কাজে সাহায্য করবে সরকারের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা এনে৷ ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক সিস্টেম সংক্ষেপে সিসিটিএনএস ব্যবস্থা সেই লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ৷ দেশব্যাপী এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তদন্ত কাজে অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করতে কতটা সময় লাগছে, তা জানতে পারবে থানা এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ৷ এতে তদন্ত কাজে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বছরের এপ্রিল থেকে নাগরিক পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে চালু করা হবে অন-লাইন অভিযোগ তথা এফআইআর মনিটারিং৷ নারী নিগ্রহের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের ওপর বাড়ছে আমজনতার ক্ষোভ৷
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী৷ ধর্ষণের শাস্তি বিষয়ে মিশ্র মত দেখা যাচ্ছে৷ ফাঁসি থেকে কেমিক্যাল ক্যাস্ট্রেশন পর্যন্ত৷ প্রথাগতভাবে ফাঁসিই হবে উপযুক্ত৷ এটা সামাজিক ইস্যু৷ তাই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি৷ সেক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যমগুলিরও ভূমিকা আছে৷
এদিকে, ধর্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে বিভিন্ন মন্তব্য৷ তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক৷ যেমন, হিন্দু সংগঠন আরএসএস-এর প্রধান বলেছেন, ধর্ষণ হয় শহরে, গ্রামে নয়৷ কারণ শহরে মেয়েরা পাশ্চাত্য জীবনধারায় অভ্যস্ত৷ এক বিজেপি নেতার মন্তব্য, ‘‘মেয়েরা যখন লক্ষণরেখা পার হয়, তখনই নিজেদের বিপদ ডেকে আনে৷ সীতারও তাই হয়েছিল''৷
এখানেই শেষ নয়৷ কারণ, হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েত তো আরও এক ধাপ এগিয়েছে৷ তারা বলেছে, ছেলেরা চাউমিন খায়, তাতে হর্মোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং তা গড়ায় ধর্ষণে৷ তাছাড়া, মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেবারও ওকালতি করে তারা৷