1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান পরিবহণ

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২

ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর মনমোহন সিং সরকার এবার বেসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দিতে চলেছে৷ তবে রাজনৈতিক দিক থেকে এই সিদ্ধান্ত যে কঠিন, সেবিষয়ে সন্দেহ নেই৷

https://p.dw.com/p/169Nf
ছবি: Reuters

আর্থিক সংস্কার তথা পুনরুজ্জীবনে মনমোহন সিং সরকার এক পা এগোলে দু'পা পিছিয়ে আসে৷ দেশে বিদেশে প্রধানমন্ত্রীকে পড়তে হয় সমালোচনার মুখে৷ সিদ্ধান্তহীনতার ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলতে কংগ্রেস-জোট সরকার ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর পরই বেসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দিতে চলেছে৷

শুত্রবার নতুনদিল্লিতে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা হয়৷ আলোচনা হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণ নিয়ে৷ আর্থিক দিক থেকে কিংফিশারের মতো অভ্যন্তরীণ বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির বেহাল দশা৷ তা কাটিয়ে ওঠার জন্য তারা বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দিতে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে৷

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রতন খাসনবিশ ডয়চে ভেলেকে সে কথাটাই বললেন, ভারতে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়াসহ যতগুলি বিমান সংস্থা আছে প্রত্যেকটারই অবস্থা বেশ খারাপ৷ কোনোটাই এখনকার পরিস্থিতিতে ঠিকমত চলতে পারছে না৷ কিছুদিন আগে কিংফিশার ঋণের বোঝা নামাতে বিদেশ থেকে টাকা ধার করার অনুমতি চেয়েছিল সরকারের কাছে৷ কাজেই এইসব কোম্পানিগুলি নিজেরাই চাইছে বিদেশি বিনিয়োগ৷

Indien Fluglinie Airline Kingfisher
কিংফিশার বিদেশি বিনিয়োগ চায়ছবি: AP

সরকারের খসড়া প্রস্তাবে বর্তমান নীতিমালা সংশোধন করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বেসরকারি বিমান সংস্থায় ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে বিদেশি বিমান সংস্থাগুলি৷ তবে কোম্পানি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং দুই-তৃতীয়াংশ বোর্ড সদস্য থাকবেন ভারতীয়৷ আগের নিয়ম অনুসারে, বিমান পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন বিদেশি কোম্পানিই ভারতের বেসরকারি বিমান কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারতো৷

বিনিয়োগের দরজা খুলে দিলে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে ? সে প্রসঙ্গে অধ্যাপক খাসনবিশ মনে করেন, বিদেশি বিমান সংস্থাগুলি সাড়া দেবে৷ ভারতে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক এভিয়েশন মার্কেট ভালোই গড়ে উঠেছে৷ গত ২০ বছরে ভারতের উচ্চবিত্তের হাতে টাকা এসেছে, যাতায়াতের চাহিদা বেড়েছে৷ দ্বিতীয়ত, বিদেশি বিমান সংস্থাগুলি এলে একটা কম্পিটিশন তৈরি হবে, তাতে ভাড়া বা পরিষেবার দিক থেকে লাভবান হবেন যাত্রিরা, বাড়বে বিমান যোগাযোগ৷

ভারতের শিল্পমহল মনে করে ভারতীয় বাজারের হালহকিকৎ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এমন সব বিমান সংস্থা প্রথমে ঢুকতে চাইবে৷ যেমন কাতার এয়ারওয়েজ বা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের মতো মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলো৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: জাহিদুল হক