এক ‘কচ্ছপ গ্রাম'-এর কথা
৫ মে ২০১৬জার্মানির সহায়তায় এই কচ্ছপদের ডিম রক্ষা ও তা থেকে বাচ্চা ফোটানোর একটি কর্মসূচি চলছে সেখানে৷ ফলে ভেলাসের নাম এখন হয়ে গেছে ‘কচ্ছপ গ্রাম'৷
প্রতিদিন সকাল পাঁচটার দিকে সৈকতে কচ্ছপের ডিম খোঁজেন বীরেন্দ্র পাটি ও সমীর মহাদিক৷ একটি সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় কাজ করেন তাঁরা৷ মোহন উপাধ্যায় এই কর্মসূচির আহ্বায়ক৷
ডিমের খোঁজ পেলে মানুষ ও প্রাণীর হাত থেকে বাঁচাতে সেগুলোকে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে ব্রিডিং করতে দেয়া হয়৷ ডিমগুলো বালুর মধ্যে রেখে গরম করার জন্য তার ওপর ঝুড়ি দেয়া হয়৷
সমীর মহাদিক বলেন, ‘‘আমরা প্রতিদিন বালুর দিকে খেয়াল রাখি৷ যদি বালিতে কোনোরকম নড়াচড়া দেখতে পাই তাহলে সতর্ক হয়ে যাই৷ মনে করি, হয়ত ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে, এখন উপর উঠতে চেষ্টা করছে৷ এমনটা হলে আমরা তাদের বের করে সাগরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসি৷''
ভেলাসের সৈকতে যে কচ্ছপ আসে তা ‘অলিভ রিডলে' প্রজাতির৷ একেকটির ওজন হয় ৫০ কেজি৷ সাগরের কচ্ছপদের মধ্যে এই জাতটাই সবচেয়ে ছোট৷
ভেলাস গ্রামে ৫০০ জনের বাস৷ সেখানকার লোকজন কৃষিকাজ করেন৷ গোলমরিচ, কাজুবাদাম আর আমের ফলন করেন তাঁরা৷ সেখানকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সংরক্ষণের উপর শিক্ষা দেয়া হয়৷
প্রায়ই শিক্ষকদের সঙ্গে পড়াশোনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মোহন উপাধ্যায়৷ কচ্ছপরা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়, কেন সৈকত রক্ষা করা জরুরি৷
এটাই জার্মানির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড-এর অর্থায়নে পরিচালিত কর্মসূচির লক্ষ্য৷