বিতর্কিত ধর্মীয় গুরুর সাজা, সহিংসতা
২৫ আগস্ট ২০১৭অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাত থেকে দশ বছর কারাদণ্ড হতে পারে রাম রহিমের৷ তবে দণ্ড ঘোষণা করা হবে সোমবার৷ রায় ঘোষণার পরপরই বিতর্কিত এ ধর্মীয় নেতার অনুসারীরা সহিংস বিক্ষোভ শুরু করে৷ আদালত চত্ত্বরে অবস্থান করা সাংবাদিকদের আক্রমণ করা হয়৷ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জনতা৷ টিয়ার গ্যাস, জলকামান, এমনকি ফাঁকা গুলি ছুঁড়েও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি রাম রহিমের অনুসারীদের৷
পঞ্চকুলায় এরই মধ্যে পুলিশ ও প্যারামিলিটারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েনও করা হয়েছে৷ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷
রাম রহিমের মূল ঘাঁটি বলে পরিচিত হরিয়ানার সিরসা শহরেও চলে তাণ্ডব৷ পার্শবর্তী রাজ্য পাঞ্জাব ও দিল্লিতেও কিছু বাস এবং দু'টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা৷
রণক্ষেত্র পঞ্চকুলা
রায় কেমন হতে পারে আগে থেকেই অনুমান করতে পারছিলেন বিতর্কিত এ ধর্মীয় নেতার অনুসারীরা৷ ফলে আগের রাত থেকেই তারা দলে দলে জড়ো হতে থাকেন শহরটিতে৷ বিভিন্ন পার্ক, সুপারমার্কেট, রাস্তায় রাত কাটিয়ে আদালত চত্ত্বরে জড়ো হয় অনুসারীরা৷
পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরজুড়ে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য এবং প্যারামিলিটারি মোতায়েন করা হয়েছিলে৷ এমনকি উত্তর ভারতের বেশ কিছু শহরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ইন্টারনেট সংযোগও৷ কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি পরিস্থিতি৷
এর আগেও শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কারণে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ ২০১৪ সালে আরেক প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা গুরু রামপালকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার অনুসারীরা পুলিশের ওপর লাঠি ও পাথর নিয়ে চড়াও হয়৷
এডিকে/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)
ভারতীয় সংস্কৃতিতে সত্যিই কি অসহিষ্ণুতা বাড়ছে? লিখুন নীচের ঘরে৷