ভারতের বাজেট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩আগামী বছরের নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আজ সংসদে ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের যে বাজেট পেশ করলেন সংসদে, তাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশের মত৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং মনে করেন, বিশ্ব আর্থিক পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে আগামী তিন বছরে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে৷
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থর্নীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বললেন, গোটা বিশ্বে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার যেখানে নিম্নমুখী, এমনকি জার্মানির মত ধনী দেশে ১ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে নেতিবাচক, সেখানে ভারতের ‘গ্রোথ রেট' নিশ্চয় ভালো ৷
এক নজরে বলা যায় বাজেটে অর্থবরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ বিকাশ, পরিকাঠামো, পরমাণু শক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে৷ রাজস্ব ঘাটতি ৫.৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪.৮ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে৷ সবুজ বিপ্লবের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি ধান ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় বরাদ্দ বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়৷ চলতি বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ২৫ কোটি টন বলেন অর্থমন্ত্রী৷
যে সব ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে, তার মধ্যে আছে সিগারেট, মোবাইল ফোন, বিলাসবহুল গাড়ি, বাতানুকূল রেস্তোরাঁ৷ দাম কমবে হাতে বোনা কার্পেট, চামড়ার জিনিষপত্র, রেডিমেড পোশাক, দামি পাথর ইত্যাদি৷ অতি উচ্চবিত্ত ছাড়া আয়কর অপরিবর্তিত৷ বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বাড়তি ১৫ শতাংশ ছাড় দেবার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী৷ শুধু তাই নয়, বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে৷
এই বাজেটকে কি অর্থনীতি ও রাজনীতির মধ্যে একটা ভারসাম্যের বাজেট বলা যায়? অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্তের মতে, অর্থনীতি ও রাজনীতির ভারসাম্য নয়৷ ভারসাম্য আয় ব্যয়ের৷
তবে কি এটা জনমোহিনী বাজেট? তাঁর বক্তব্য, চমকপ্রদ কিছু না থাকলেও এক অর্থে এই বাজেট জনমোহিনী৷ তার মানে এই নয় অনেক কিছু পাইয়ে দিলাম৷ জনমোহিনী এই অর্থে মানুষের কাঁধে কঠিন কিছু চাপানো হয়নি৷