‘ভোটাররা তাইয়িপকে লাল কার্ড দেখিয়েছে'
৮ জুন ২০১৫রবিবারের সংসদ নির্বাচনের ৯৯ দশমিক ৯ ভাগ ভোটগণনা শেষে এর্দোয়ানের একেপি ৪১ ভাগের মতো ভোট পেয়েছে, যার অর্থ, ২০০৩ সালের পর থেকে এই প্রথম দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না৷ সব মিলিয়ে ২৫৮টি আসন পাবে একেপি৷ অথচ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৩৩০টি আসনের দরকার ছিল৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, কুর্দিপন্থি দল এইচডিপি-র উত্থানই একেপির প্রত্যাশিত ভোট না পাওয়ার বড় কারণ৷ ১৩ শতাংশের মতো ভোট পেয়ে এবারই প্রথম সংসদে যাচ্ছে তারা৷ সংসদে স্থান নিশ্চিত করতে তাদের ১০ শতাংশ ভোটের দরকার ছিল৷
চমক দেখালেও আসন সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকবে এইচডিপি৷ ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে একেপির পরেই থাকছে সিএইচপি, তারপর ১৬ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পাওয়া এমএইচপি এবং তারপরই এইচডিপি৷
নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান ভোটারদের প্রতি বারবার তাঁর দলকে বিপুল ভোটে জয়ী করে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান৷ কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না৷ আপাতত জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করতে হবে একেপি-কে৷ তবে নাটকীয় কিছু না ঘটলে সে চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, কেননা, সম্ভাব্য জোটসঙ্গী এমইচপি-র নেতা ডেভলেট বাহচেলি তাঁর দলের জোট সরকারের অংশ হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন৷ খুব তাড়াতাড়ি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
তুরস্কের গণমাধ্যমের বড় একটা অংশও মধ্যবর্তী নির্বাচনের পক্ষে৷ দৈনিক ‘হুরিয়েত' তাই শিরোনামে লিখেছে, ‘তিনটি সম্ভাবনা'৷ তাদের বিশ্লেষন অনুযায়ী তুরস্ক এখন যে তিনটি পথ অবলম্বন করতে পারে, সেগুলো হলো, ১. জোট সরকার গঠন, ২. একেপির দুর্বল সরকার এবং ৩. আগেভাগে নির্বাচন আয়োজন৷
দৈনিক মিল্লেত নির্বাচনের ফলাফলকে দেখছে, ‘নতুন যুগের সূচণা' হিসেবে৷ এর্দোয়ান-বিরোধী সোজচু লিখেছে, ‘ধস৷ ভোটাররা তাইয়িপকে লাল কার্ড দেখিয়েছে৷'
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)