ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিস
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে এতদিন সরব ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই কেন্দ্রকেই খানিক চাপের মুখে পড়তে হলো। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার এ বিষয়ে কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠিয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো ওই নোটিসে তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যে দাবি করছে, তার তথ্য প্রমাণ নেই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গেরভোট পরবর্তী সহিংসতার মামলাটি উঠেছিল। বিচারপতি বিনীত সরণ এবং অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি শোনে। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের হয়ে বেশ কিছু মামলা তিনি লড়েছেন। এই মামলাটিও তিনি লড়ছেন।
আদালতকে সিবাল জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে যে অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে এসেছে, তা ভুলে ভরা। এমন ব্যক্তিকে সহিংসতায় মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে, বাস্তবে যিনি জীবিত। নিজের দাবির সপক্ষে আদালতে বেশ কিছু নথি দাখিল করেন সিবাল। সেই নথি দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নোটিস দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ অক্টোবর। তার আগে কেন্দ্রকে ওই নোটিসের উত্তর দিতে হবে।
এদিন আদালতকে কপিল জানান, রাজ্য সরকার নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস অস্বীকার করছে না। কিন্তু তার যুক্তি, ওই সময় প্রশাসন রাজ্য সরকারের হাতে ছিল না। ভোটের ফল বেরিয়েছে ২ মে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ৫ মে। মধ্যবর্তী সময়ে প্রশাসন ছিল নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে। ফলে ওই সময় যে সন্ত্রাস হয়েছে, তার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।
বিজেপি নেতা সৌরভ শিকদারের বক্তব্য, ভোটের সময় সহিংসতা কেবল ২মে থেকে ৫মে-র মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ''ভোটের আগে থেকেই শাসকদল সন্ত্রাস চালিয়েছে। এখনো চালাচ্ছে। প্রতিদিন বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে প্রশাসন তাদের হাতে ছিল না বলে শাসকদল দায় এড়াতে পারে না।''
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এখনো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূলও। তারই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)