1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভোট ভালো চলছে, ভেতরে যাওয়ার দরকার নেই’

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

ভোট দিতে কেন্দ্রে ঢোকার আগে চট্টগ্রামের এক ভোটারকে এই কথা জানানো হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান রাসেল নামের ঐ ভোটার৷ শেষ পর্যন্ত তিনি ভোট দিতে পারেননি৷

https://p.dw.com/p/3AmOE
ঢাকার খিলগাঁও এলাকার কয়েকজন ভোটারছবি: DW/A. Islam

৩৪ বছরের রাসেল রয়টার্সকে বলেন, তিনি পুলিশ ও পরিচিত আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভোটারদের একটি কেন্দ্রে যেতে বাধা দিতে দেখেছেন৷ ‘‘তারা আমাকে বলেছে, ‘ভোট ভালো চলছে, আপনার ভেতরে যাওয়ার দরকার নেই’৷ যদি ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন, তাহলে সমস্যা হবে,’’ বলেন তিনি৷ প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন এই ভয়ে রাসেল তাঁর নামের দ্বিতীয় অংশটি জানাননি৷

তিনি জানান, ‘‘শাসক দলের কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল৷ এর মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের লোক বলে আমি নিশ্চিত৷ আমি যদি জোর করে কেন্দ্রের ঢোকার চেষ্টা করতাম, তাহলে তারা আমাকে মারত৷’’

রাসেলের এই অভিযোগের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কারও সঙ্গে তৎক্ষণাৎ কথা বলতে পারেনি রয়টার্স৷

এদিকে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঢাকার যে কেন্দ্রে তিনি ভোট দিয়েছেন সেখানে বিরোধী দলের কোনো এজেন্ট দেখতে পাননি৷ তাঁদের সেখান থেকে দূরে রাখা হয়েছে৷ ‘‘সারা দেশ থেকে আমি ফোনে এই ধরণের অভিযোগ পাচ্ছি৷ কিন্তু আমি একা কী করতে পারি?’’ রয়টার্সকে বলেন তিনি৷

নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র জানান, ভোটকেন্দ্রে বিরোধীদের উপস্থিতির অভাব নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

সাংবাদিক সৈয়দ ফাইয়াজ আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ভোট দেয়ার গোপন জায়গায় গিয়ে তিনি সেখানে একটি দলের লোকজন দেখতে পেয়েছেন৷ তাদের সামনেই ভোট দিতে হচ্ছে বলে দাবি তাঁর৷ এছাড়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যে, তাঁদের আঙুলের ছাপ নিয়ে নাকি আর কিছু করতে দেয়া হয়নি৷

ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি আরাফাতুল ইসলাম ভোট গ্রহণ শুরুর পর কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেন, যাঁরা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তখনও ভোট দিতে পারেননি৷ এর মধ্যে একজন মহিবুল্লাহ৷ তিনি জানান, ‘‘পৌনে আটটার সময় আসছি৷ আমি সিরিয়াল খুঁজে পাচ্ছি না৷ মেসেজ অপশনে দিচ্ছি কোনো মেসেজ দিচ্ছে না৷ এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি, ভোটের নাম্বার পাচ্ছি না, সিরিয়াল নাম্বার পাচ্ছি না৷’’ এই সময় মহিবুল্লাহর পাশে থাকা অন্যরা বলতে থাকেন যে, স্মার্টকার্ড থাকার পরও তাঁদের ‘স্লিপ’ দেয়া হচ্ছে না৷

ঢাকায় ডয়চে ভেলের আরেক প্রতিনিধি যুবায়ের আহমেদ এই টুইটটি করেছেন৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া, শান্তিপূর্ণ ভোটের চিত্র দেখাচ্ছে৷ তারপরও বিরোধীরা অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে৷ এভাবে তারা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে, যেখানে জরিপ বলছে, শাসক দল বিপুল ভোটে জয়ী হবে৷’’

জেডএইচ/এপিবি (রয়টার্স)