ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা শুরু
২০ মে ২০২২এবার ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সি নাগরিকদের তথ্য নেবে নির্বাচন কমিশন বা ইসি৷ ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তারা এবার নিবন্ধনের সুযোগ পাবে৷
কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- প্রথম ধাপের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ৯ জুন পর্যন্ত
- এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে নিবন্ধন
- ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এই ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে
- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে স্বাক্ষর দিতে হবে এবং তার ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে৷
- এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে এ বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত৷
- যাদের জন্ম ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৩ সালের ২ মার্চ৷
- যাদের জন্ম ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভূক্ত করে ভোটার তালিকা প্রকশ করা হবে ২০২৪ সালের ২ মার্চ৷
- যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভূক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকশ করা করা হবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ৷
প্রায় ৫৬ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ জন সুপারভাইজার এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন৷ দেশের নাগরিকদের মধ্যে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এবং বাদ পড়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এই হালনাগাদে৷
যেসব উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে
রংপুর অঞ্চলের পঞ্চগড় জেলার সদর, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, দিনাজপুর জেলার সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারী জেলার সদর ও ডিমলা, লালমনিরহাট জেলার সদর, রংপুর জেলার সদর ও পীরগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার সদর ও ফুলছড়ি৷
রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাট জেলার সদর, বগুড়া জেলার সদর, দুপচাঁচিয়া ও সারিয়াকান্দি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট, নওগাঁ জেলার সদর, পোরশা ও বদশগাছি, রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া, নাটোর জেলার সদর ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর ও তাড়াশ, পাবনা জেলার সদর ও ঈশ্বরদী৷
খুলনা অঞ্চলের মেহেরপুর জেলার গাংনী, কুষ্টিয়া জেলার সদর ও কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ ও হরিণাকুণ্ডু, যশোর জেলার সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়া, মাগুড়া জেলার সদর, নড়াইল জেলার সদর, বাগেরহাট জেলার সদর ও শরণখোলা, খুলনা জেলার সদর, সোনাডাঙ্গা ও দৌলতপুর, সাতক্ষীরা জেলার সদর ও তালা৷
বরিশাল অঞ্চলের বরগুনা জেলার সদর ও আমতলী, পটুয়াখালী জেলার সদর ও গলাচিপা, ভোলা জেলার সদর ও মনপুরা, বরিশাল জেলার সদর, আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী, ঝালকাঠী জেলার সদর, পিরোজপুর জেলার ও নেছারাবাদ৷
ফরিদপুর অঞ্চলের গোপালগঞ্জ জেলার সদর ও টুংগীপাড়া, মাদারীপুর জেলার সদর, শরিয়তপুর জেলার সদর ও ডামুড্যা, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর, রাজবাড়ী জেলার সদর৷
ঢাকা অঞ্চলের মানিকগঞ্জ জেলার সদর ও শিবালয়, মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া, নরসিংদী জেলার শিবপুর ও পলাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর ও আড়াইহাজার, ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জ, সাভার, সুত্রাপুর, কোতয়ালী ও ডেমরা, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া৷
ময়মনসিংহ অঞ্চলের টাঙ্গাইল জেলার সদর, সখিপুর ও ঘাটাইল, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও, নেত্রকোনা জেলার সদর ও কলমাকান্দা, কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, কটিয়াদি ও তাড়াইল৷
সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জ জেলার সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও বালাগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার সদর ও শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ জেলার সদর ও বাহুবল৷
কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর, নাসিরনগর, কুমিল্লা জেলার লালমাই, বরুড়া, লাকসাম, হোমনা ও বুড়িচং, চাঁদপুর জেলার কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, ফেনী জেলার সদর ও ফুলগাজী, নোয়াখালী জেলঅর সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর ও রামগতি৷
চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডু, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, লোহাগড়া, পটিয়া ও আনোয়ারা, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, রামু, চকরিয়া ও কুতুবদিয়া, খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মহালছড়ি ও লক্ষ্মীছুড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার সদর এবং বান্দরবান জেলার সদর উপজেলা৷
রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে, সেজন্য এবারও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা৷
এর অংশ হিসেবে বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে৷ এছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত ডেটাবেজ যাচাই করে নিবন্ধন চূড়ান্ত করা হবে৷
এবার যাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তাদের মধ্যে ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তারা ২০২৩ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন৷
হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহ করে রাখা পরের দুই বছরের (২০০৭ ও ২০০৬) নাগরিকদের তথ্য ইসির ডেটাবেইজে সংরক্ষণ করা হবে৷ এসব নাগরিকরা যথাক্রমে ২০২৪ ও ২০২৫ সালের হালনাগাদে স্বংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় আসবেন৷ এছাড়া যে কেউ নির্বাচন অফিসে গিয়ে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে ভোটার হতে পারেন৷
বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন৷ তাদের মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন ট্রান্সজেন্ডার৷
এনএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)