‘মধ্যপ্রাচ্যে কষ্টের শেষ নাই ভাই'
৬ মে ২০১৬মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানির কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে কূটনৈতিক ব্যর্থতাকেই তুলে ধরেছেন বায়রা-র সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ কালাম৷ তাঁর এই বক্তব্যটি ডয়চে ভেলের ‘আলাপ' পাতায় পড়েছেন মাসুম চৌধুরী৷ পড়ার পর তাঁর মন্তব্য এরকম – ‘‘কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে শুধুমাত্র জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হচ্ছে যে তা নয়, বরং সাথে সাথে প্রবাসে অবস্থানরতদের নানা অজুহাতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে৷ সরকার যদি তড়িৎ গতিতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে আমাদের জাতীয় আয়ের মাধ্যম রেমিট্যান্স এক সময় পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে৷ এটা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা অশনিসংকেতও বটে৷''
বোরহানউদ্দিন কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশিদের কষ্টের কারণ হিসেবে বাংলাদেশের দূতাবাস এবং সরকারকেই দায়ী করছেন৷ ফেসবুক পাঠক মোহাম্মদ আলীও বোরহানউদ্দিনের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন৷
মনসুর আহমেদের বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে আলমাস হোসেন তাঁর দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘আপনি যে কথাগুলো বলেছন, তা একদম সত্য কথা৷ আমাদের মতো প্রবাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশের আয়ের পরিমাণ বাড়চ্ছে৷ কিন্তু আয়গুলো কে, কীভাবে করছে – তা বাংলাদেশ সরকার একটুও ভেবে দেখেনি আর আমার মনে হয় তারা এ ব্যাপারে কোনোদিন ভাবার চেষ্টাও করেনি৷''
‘‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কষ্টের শেষ নাই ভাই৷'' মাসুদ পারভেজও এভাবেই তাঁর কষ্টের কথা জানিয়েছেন৷
বাংলাদেশের কোনো সরকারই ঘাম, রক্ত, এমনকি জীবন দিয়েও পরিবার ও দেশের সুন্দর আগামী নির্মাণে ভূমিকা রেখে যাওয়া এই প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি৷ যার কারণে সাঈদ ইকবলের দুঃখ আরো বেশি৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা প্রবাসীরা পরিবারেও হতে পারি না, রাষ্ট্রেরও হতে পারি না৷''
তবে বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি ভিন্ন মত ডয়চে ভেলের পাঠক রঞ্জু হকের৷ তাঁর মতে, ‘‘নিজের দেশে ভালো থাকতে পারলে বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ তাই তিনি কিছুটা গর্ব করেই লিখেছেন, ‘‘আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশ, মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কী দরকার?''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ