মশা মারতে ড্রোন!
১৫ নভেম্বর ২০১৫গত অক্টোবর মাসে ড্রোনটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে৷ ১২ কিলোগ্রাম ওজনের ড্রোনটি থেকে যে ‘বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্ট' ছড়ানো হবে, তা মশার কীট বিনষ্ট করার ক্ষমতা রাখে৷ ড্রোনটি আগামী বসন্তে প্রথম ব্যবহার করা হবে, বলে জানিয়েছেন কেএবিএস-এর বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক নরব্যার্ট বেকার৷
স্পায়ার শহরে জার্মান মশা নিয়ন্ত্রণ সমিতির মুখ্য কার্যালয়ে বেকার জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে বলেন যে, ইউরোপে পুকুর বা খাল-বিলে মশার ডিম নষ্ট করার জন্য ড্রোনের ব্যবহার হবে এই প্রথম৷ প্রথমে স্বল্প কয়েকটি এলাকায় এভাবে কীটনাশক ছড়ানো হবে, বলে তিনি জানান৷
এ পর্যন্ত কেএবিএস তাদের বাৎসরিক অভিযানে রাইন নদের প্রশাখা ও খালবিলে ‘স্প্রে গান' দিয়ে কীটনাশক ছড়িয়েছে; নয়ত হেলিকপ্টার থেকে বড় আকারে বেশি পরিমাণে কীটনাশক ছিটোনো হয়েছে৷
বেকার বলেন, ‘‘ড্রোন হেলিকপ্টারের বিকল্প হতে পারে না, কিন্তু আমরা হেলিকপ্টারের কাজ কমাতে পারি – যেখানে বর্ষার জল জমে, এমন সব ছোট ছোট জায়গায় ড্রোন থেকে কীটনাশক ছিটোতে পারি৷ এবং তা-তে কাজও হয়েছে৷''
কেএবিএস ড্রোনটি টেস্ট করার সময় সেটিকে একটি বালতির উপর দিয়ে উড়িয়ে ঠিক সময়ে ড্রোনের নীচের দিকে ঝোলানো ঝুড়ির দরজা খুলে দিয়ে সেই ঝুড়ি থেকে কীটনাশক ছড়িয়েছে৷ ড্রোনটির ঝুড়িতে পাঁচ কিলোগ্রাম কীটনাশক ধরে৷
পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ড্রোনটিকে দশ মিটার উচ্চতায় ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার গতিতে ওড়ালে মোট পাঁচ মিটার জমি – বা পানির উপর কীটনাশক ছড়ানো যায়৷ মশা মারার পক্ষে তাই যথেষ্ট, বলে বেকার জানান৷
ড্রোন ওড়ানোর জন্য জার্মান এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে বেকার বলেন, ‘‘আমরা এখন যেভাবে ড্রোন ব্যবহার করছি, আমাদের তা করার অনুমতি আছে৷ ড্রোনটা অপারেটরের দৃষ্টির মধ্যে থাকা চাই আর ড্রোনের ওজন একটা নির্দিষ্ট ওজনের বেশি হলে চলবে না৷''
এসি/ডিজি (ডিপিএ)