মহাজোট গঠনের সিদ্ধান্ত বিভক্ত এসপিডির হাতে
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির জনপ্রিয়তা এতই বেড়ে গিয়েছিল যে তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছেছিল৷ অথচ বর্তমানে সেই সংখ্যা নেমে হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজারে৷ তবে সংখ্যাটা কমে গেলেও এই সদস্যরাই কিন্তু জার্মানির ভবিষ্যত সরকার গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ, খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন সিএসইউ এবং এসপিডি স্থানীয় সময় রবিবার পর্যন্ত জোট গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা শেষ করার সময় ঠিক করেছিল৷ যদিও দলীয় নেতারা নিজেদের কিছু মতপার্থক্য দূর করতে দু'দিন অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে বলেই ধরে নিয়েছিলেন৷
কিন্তু মোদ্দা কথা হলো আলোচনা যাই হোক না কেন, এসপিডি দলের সদস্যদের মতামত ছাড়া জার্মানিতে এবার সরকার গঠন বা মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা নেই৷ জোট গঠনের আলোচনা শেষ হলে জোটের চুক্তির একটি খসড়া এসপিডির প্রতিটি সদস্যের কাছে পাঠানো হবে, তাঁদের মতামত জানার জন্য৷ অর্থাৎ তাঁদের কেবল ‘হ্যাঁ' অথবা ‘না'-এর মাধ্যমে মতামত জানাতে হবে৷ এছাড়া ৬ই ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত যাঁরা সদস্য হয়েছেন , তাঁরাও এই হ্যাঁ/না ভোটে মতামত দিতে পারবেন৷ জানুয়ারিতে দলের সম্মেলনে মহাজোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা শুরুর ভোটে খুব কম ব্যবধানে সবুজ সংকেত পেয়েছিল এসপিডি৷ আর তরুণ সদস্যরাও মোটেও জোট গঠনের পক্ষে নন৷ এসপিডির অনেক সদস্য এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন, তাঁদের অনেক দাবি-দাওয়াই এই চুক্তিতে মানা হবে না৷ যেমন: শরণার্থীদের নিজ নিজ পরিবারবর্গকে জার্মানিতে নিয়ে আসার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা৷
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবির পরও এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস ঠিক করেছিলেন, পার্লামেন্টে বিরোধী দল হিসেবেই প্রবেশ করবেন৷ এখন তিনি মহাজোটের অংশ হিসেবে পার্লামেন্টে বসার উদ্যোগ নিচ্ছেন, সিডিইউ, সিএসইউ-এর পর তৃতীয় দল হিসেবে৷ সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে এসপিডি এবং তার দলনেতার সমর্থন রেকর্ড হারে কমে গেছে, যা আগে কখনো হয়নি৷
মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা ভেস্তে গেলে কী হবে?
মহাজোট গঠন সম্ভব না হলে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে৷ সংবিধান অনুযায়ী, নতুন করে নির্বাচন ডাকতে হলে জার্মান প্রেসিডেন্টকে আগে চ্যান্সেলরের নাম প্রস্তাব করতে হবে৷ যেহেতু সেপ্টেম্বরে ম্যার্কেল বেশি ভোট পেয়েছেন, তাই তাঁকে প্রথমে সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে৷ অথবা প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)