মাক্রোঁর ফোন টার্গেট ছিল না: এনএসও
২২ জুলাই ২০২১শুধু সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধেই নয়, রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোনেও পেগাসাস দিয়ে আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর ফোনও আড়িপাতার তালিকায় ছিল বলে অভিযোগ।
এরপরই স্পাইওয়্যার পেগাসাসের নির্মাতা এনএসও-কে অনুরোধ করেছিল রিপোর্টার্স উইদাউট বডার্স(আরএসএফ)। তাদের অনুরোধ ছিল, এনএসও যেন এই স্পাইওয়্যার বিদেশে বিক্রি না করে। কারণ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর মতো বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রচুর সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মীর বিরুদ্ধে পেগাসাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
এনএসও-র চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার গেলফ্যান্ড আই২৪ নিউজ টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, ''আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ টার্গেট ছিলেন না।'' তবে তিনি এও বলেছেন, ''কিছু ক্ষেত্রে আমরা এতটা স্বচ্ছন্দ্যে একথা বলতে পারি না। এরকম কোনো ঘটনার কথা জানতে পারলে আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসি। বোঝার চেষ্টা করি, পেগাসাস ব্যবহারের কোনো আইনসঙ্গত কারণ আছে কি নেই।''
আরএসএফ প্রধান সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে দেখা করে এই স্পাইওয়্যারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেন। তিনি বলেন, যতদিন কোনো রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি না হচ্ছে, ততদিন যেন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। এরপরই এনএসও-কর্তা টিভির সামনে এসে ওই বয়ান দেন।
এনএসও-র ক্রেতাদের তৈরি করা ৫০ হাজার ফোন নম্বরের একটি তালিকা সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। এই ফোনে পেগাসাস বসানো হয়েছিল বা বসানোর কথা ভাবা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই তালিকায় মাক্রোঁ সহ ১৩ জন রাষ্ট্রপ্রধানের ফোন নম্বর আছে।
৪৫ দেশের সঙ্গে চুক্তি
এনএসও-র সঙ্গে ৪৫টি দেশের চুক্তি আছে। তাদের দাবি, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সব কটি চুক্তি আগে অনুমোদন করে। আর কোম্পানি কোনো ক্রেতাকে আগে থেকে চিহ্নিত করে না।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন ফরবিডন স্টোরিস এই তালিকা পায়। তাদের দাবি, এমএসও-র ক্লায়েন্টদের মধ্যে বাহরিন, ভারত, মেক্সিকো, মরক্কো, সৌদি আরবের মতো দেশ আছে।
জিএইচ/এসজি(এএফপি)