‘মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা প্রাথমিক স্কুলের চেয়ে ভালো’
১৮ নভেম্বর ২০১৫সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মানুষের দেয়া দানের মাধ্যমে মাদ্রাসাগুলো চলে৷ সেখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা দেয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে খাবার দেয়া হয়৷ ফলে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষরা তাদের সন্তানদের সেখানে পাঠায়৷
এ ধরনের শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ফেলা বেশ সহজ বলে মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক৷ আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে যে জঙ্গি কার্যক্রম চলছে সেটা করার সামর্থ্য মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের না থাকলেও তাদেরকে এসব কাজে ব্যবহার করা সহজ বলে মনে করেন তিনি৷
তাই জঙ্গিবাদ দূর করতে চাইলে সরকারকে মাদ্রাসা শিক্ষার একটি বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে, বলে জানান সাখাওয়াত হোসেন৷ ‘‘যে কারণে গ্রামের বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠান, সেটা যদি প্রাথমিক স্কুলগুলোতে করা যায় তাহলে সেটা ফলপ্রসু হবে'', বলেন তিনি৷ বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে প্রাথমিক স্কুলগুলোতে টিফিন দেয়ার মতো কর্মসূচি চালু করলেও দুর্নীতির কারণে ঐ কর্মসূচির অর্থ অন্য খাতে ব্যয় হয়ে গেছে, বলেন সাখাওয়াত হোসেন৷
তাহলে কি মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা ভালো? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ডেফিনেটলি৷ এদের নেটওয়ার্কটা ভালো বলে আমি মনে করি৷''
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে পাঁচটি কারণের কথা উল্লেখ করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্কুল পর্যায়ে ধর্ম, ‘সেক্যুলারিজম' ইত্যাদি বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা না হওয়ায় তরুণরা বিষয়গুলো ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না৷ এছাড়া বিভিন্ন কারণে তরুণরা সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছে না৷ তাই তারা জঙ্গিবাদের মতো ‘অ্যাডভেঞ্চার'-এ জড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করেন তিনি৷
বাংলাদেশে চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে একটি কারণ বলে উল্লেখ করেন সাখাওয়াত হোসেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখানে আমরা দুই ক্ষেত্রেই ‘এক্সট্রিম' কথাবার্তা বলি৷ এত ‘এক্সট্রিম সেকুলারিজম'-এর কথাবার্তা আমরা বলি যেটা অনেক শিক্ষার্থীকে এক ধরনের ‘এলিয়েনেট' করে৷ আবার ধর্ম নিয়েও অনেক এক্সট্রিম কথা বলা হয়৷ এরকম ‘সোশ্যাল কনট্রাস্ট'-এর কারণে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়৷''
আপনার কী কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ